বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলাপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ দোলাকে (১৯) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালানো হয়েছে। আর যৌতুকের জন্য দোলাকে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ দোলার বাবা-মাসহ স্বজনরা। শনিবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। লিখিত বক্তব্যে দোলার চাচা অমল কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, মাদকাসক্ত স্বামী
সম্রাট কর্মকার, শাশুড়ি সাধনা রাণী, শ্বশুড় বাবুল কর্মকার দোলাকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। অশালীন আচরণ করত। সর্বশেষ দোলার তলপেটে
লাথি মারে। এতে দোলা ডাক-চিৎকার করলে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে রাখে।
মেয়ের এমন পরিণতির কথা বলে কল্পনা রাণী ও শ্যামল কর্মকার অঝোর ধারায়কান্না জুড়ে দেন। তারা বলেন, ‘আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আত্মহত্যা করতে পারে না। কারণ সে গর্ভের সন্তানের মমতায় সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চেয়েছিল।’ উল্লেখ্য গত ২৪ মে সন্ধ্যায় কলাপাড়া থানা পুলিশ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ দোলার মৃতদেহ চিঙ্গরিয়ার স্বামীর ঘর থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। পরিবারের সবাই এটি হত্যাকান্ড দাবি করে এবং জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এঘটনায় মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে কল্পনা রাণী পটুয়াখালী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছেন। যেখানে স্বামী সম্রাট কর্মকারকে প্রধান করে ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে দোলার শাশুড়ি সাধনা রাণী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কলাপাড়া থানার ওসি জানান, লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদালতে দায়ের করা মামলার আদেশ তার কাছে এখনও পৌছেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।