পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে দুর্ধর্ষ যুবলীগ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী হত্যার ঘটনাকে মারামারি নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। কারা কর্তৃপক্ষ ঘটনাকে মারামারি বলে দাবি করলেও পারিপাশ্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুজনের মধ্যে মারামারি হলে একজন পুরো অক্ষত থাকার কথা নয়।
তাছাড়া একজন একাই তাকে ইটের আঘাতে জর্জরিত করলো আর সে নিজেকে রক্ষায় কিছুই করলো না তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, অমিতকে ঘুমের মধ্যেই আক্রমণ করা হয়েছে। আর এই কারণে তার জখম ছিলো মারাত্মক এবং সে নিজেকে রক্ষায় কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। তবে এই খুনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত রিপন নাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে মনে করেন ডিবির কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যে এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো এবং পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেছে ডিবি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক বিকাশ সরকারের এই আবেদনের উপর আগামী সোমবার শুনানি হবে।
বুধবার রাত ১১টায় কারাগার থেকে অমিতকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন কারাগারের জেলার নাসির আহমেদ। মামলায় ৩২ নম্বর সেলের আরেক হাজতি রিপন নাথকে (২৭) আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন ৩২ নম্বর সেলের কক্ষে অমিত মুহুরীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে ইটের টুকরো দিয়ে মাথায় আঘাত করে রিপন। কারারক্ষীরা ঘটনা দেখতে পেয়ে আহত অমিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারে পরিদর্শন শেষে বলেছেন, ঘুমন্ত অবস্থায় আরেক বন্দি মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে অমিতকে হত্যা করেছে। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে অমিত মুহুরীকে হত্যার রহস্য খুঁজছে ডিবি। ডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযুক্ত রিপন নাথের বাড়ি সীতাকুন্ডে। তার সাথে অমিতের কোন শত্রুতার কথা কারো জানা নেই। অমিত ১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দি। অন্যদিকে অল্পকয়েক দিন আগে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান রিপন নাথ। এক সেলে থাকার কারণে নিজেদের মধ্যে বিরোধের কারণে অমিতকে হত্যা করা হয়েছে তা মানতে নারাজ ডিবি। এক্ষেত্রে রিপন কারো হয়ে কাজটি করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ডিবির কর্মকর্তারা।
ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননে বন্ধু ও যুবলীগ কর্মী ইমরানুল হককে নৃশংসভাবে খুনের পর ড্রামে ভরে এসিড দিয়ে লাশ গলিয়ে দিঘীতে ফেলার মামলায় ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অমিত মুহুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৩ সালে সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে জোড়া খুন, ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন নগরীর ডিসি হিলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায়ও আসামি ছিল অমিত মুহুরী। তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অর্ধডজন নেতাকর্মীকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে। কারাগারে তার খুন হওয়ার ঘটনায় যুবলীগের বিরোধের কোন যোগসূত্র আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।