পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে নিপীড়নের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বহিস্কৃত প্রিন্সিপাল এসএম সিরাজ উদ দৌলা ও আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পিবিআই। চার্জশিটে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের সুপারিশ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে চার্জশিটটি জমা দেয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্তাকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম চার্জশিটটি জমা দেন। ঘটনার এক মাস ২১ দিনের মাথায় মামলাটির চার্জশিট দেয়া হলো।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ৮০৮পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল সিরাজকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। তিনি হত্যাকান্ডের সময় জেলে থাকলেও তার নির্দেশনায়ই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলম (৫০), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন (১৯), হাফেজ আবদুল কাদের (২৫), আফছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মণি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আবদুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন (২২), মোহাম্মদ শমীম (২০) ও মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, তদন্তে ১৬ আসামির বিরুদ্ধে নুসরাত জাহান রাফিকে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা করা এবং হত্যার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ ও হত্যাকান্ডে সহযোগিতার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৪ (১) ও ৩০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে ওই মাদরাসার সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে প্রিন্সিপালেরসহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি। নুসরাতের মৃত্যুর পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আর দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে মামলার তদন্তভার থানা পুলিশ থেকে দেয়া হয় পিবিআইয়ের হাতে।
ওমর ফারুক ফেনী মোঃ আকতারুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম জানান, নুসরাতের পক্ষের আইনজীবী এড. শাহজাহান সাজু জানান, ফেনীর চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিটে ফেনীর মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। যে ৫ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে মামলার বাদীর কোন অভিযোগ থাকলে নারাজি দেয়া হবে। এদিকে নুসরাতের মা বলেন, পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা নুসরাতকে বোনের মতো ভেবে নিরসলভাবে কাজ করেছেন। কম সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতার করে নজির সৃষ্টি করেছে পিবিআই। তিনি এই অভিযুক্ত ১৬ আসামীর ফাঁসির দাবি করেন।
কোনো ধরনের হুমকি কিংবা চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বলেন, অনেক ধরনের হুমকি আসে। তবে আমরা এটাকে আমলে নেই না। যেখানে মেয়েকে হারিয়েছি সেখানে নিজেরা বেঁচে থেকে কি করব। যেখানে নুসরাত হত্যার বিচারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন, সেখানে আমাদের মেরে ফেললেও কোনো সমস্যা নেই। এ সময় তিনি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।