মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বৈশ্বিক পরিস্থিতি যখন একটা দ্রুত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন নয়াদিল্লীতে ক্ষমতায় আরোহনকারী বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্র নীতিতে এবারও মনোযোগটা চীন আর পাকিস্তানের সাথে ভারতের জটিল সম্পর্কের দিকেই নিবদ্ধ থাকবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উভয়েই দ্রুততার সাথে লোকসভা নির্বাচনে এনডিএর বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেয়ার পরপরই মোদি জুনের মাঝামাঝি কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কোঅপারেশান অর্গানাইজেশানের (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতে যাবেন। প্রেসিডেন্ট শি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উভয়েই সেই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে শি-এর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন মোদি এবং এর মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন গতি পাবে। মোদি ও শি গত কয়েক বছরে নিজেদের মধ্যে প্রায় এক ডজন বৈঠক করেছেন এবং এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি করেছেন।
দুই দেশের মধ্যে ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে দোকলামে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল এবং যেটার সূত্রে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, দুই নেতার ব্যক্তিগত যোগাযোগের কারণে সেই সমস্যাটা উৎরানো গেছে। গত বছরের এপ্রিলে উহানে অনুষ্ঠিত দুই নেতার অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে দুই নেতা দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নেন যে, মতবিরোধের বিষয়গুলোর কারণে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ ঘটতে দেয়া যাবে না। উভয় পক্ষই আশাবাদী যে, আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে উহান স্পিরিট প্রভাব রাখবে। এদিকে, চলতি বছর শেষের দিকে ভারতে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে মিলিত হবেন মোদি এবং শি।
জয়শ-ই-মোহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে চীন তাদের আপত্তি শেষ পর্যন্ত তুলে নেয়ায় ভারত খুশি হয়েছে। কিন্তু নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতের সদস্যপদের ব্যাপারে চীনের অব্যাহত প্রতিরোধ এখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা বাধা হয়ে আছে। সেই সাথে, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেনি বেইজিং।
পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা দেখার বিষয় যে মোদি বিশকেকে খানের সাথে অনানুষ্ঠানিক কোন আলোচনা করেন কি না, যদিও ভারতের নির্বাচনের উত্তাপ এখন প্রশমিত হয়ে এসেছে। এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা থেকে এই প্রত্যাশা বেড়েছে যে, দুই দেশের নেতার মধ্যেও আলোচনা হতে পারে।
স¤প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের জন্য কঠিন একটি অংশীদার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, যদিও দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ছে। ইরানের তেল আমদানির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কোন ছাড় না দেয়ায় ভারতকে এখন পথ বের করতে হবে, কিভাবে তারা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ইরানের তেল যাতে আমদানি করা যায়, ভারতের এ ধরনের আবেদন ওয়াশিংটনের কানে ঢোকেনি। বাণিজ্য ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ছে, যেগুলো মোদি সরকারকে কাটিয়ে উঠতে হবে। রাশিয়া ভারতের সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধু এবং মোদি এই সম্পর্কটাকে আরও মজবুত করতে চান, যদিও ভারত-রাশিয়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার সতর্ক করে এসেছে। ভারতকে একই সাথে এটাও দেখতে হবে যাতে রাশিয়ার সাথে পাকিস্তানের মজবুত কোন প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে না ওঠে। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।