মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পর পর দু’বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। ভূমিধস বিজয়ের পর যিনি নিজেকে ফকির বলে অভিহিত করেছেন। দিল্লিতে এখন এবার নতুন সরকার গঠনের ব্যস্ততা। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ মে সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়বার শপথ নিতে চলেছেন তিনি।
২০১৪ সালে বিজয়ী হয়ে অবশ্য মোদী ২৬ মে শপথ নিয়েছিলেন। তবে সরকারিভাবে ২৮ মে শপথ গ্রহণের কথা জানানো হয় নি। সবই বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া অনুমানমাত্র। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ দিল্লির কুরসিতে ফেরার পরেই সরকারের শপথ গ্রহণের দিন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০১৪তে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, অনুপম খের, সালমান খান, বিবেক ওবেরয়ের মতো বলিউডের সেলিব্রেটিরাও ছিলেন। তবে, এবার তেমন কোনও পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে মন্ত্রিসভা গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। এবারের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের থাকার সম্ভাবনা নেই। তিনি এবার নির্বাচনে দাঁড়ান নি। তাছাড়া কিডনি পরিবর্তন হয়েছে তার কিছুদিন আগেই। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও অসুস্থ। তারও কিডনি পরিবর্তন হয়েছে। তাই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কারা আসবেন তা নিয়ে কৌতুহল রয়ে গিয়েছে।
ভারতের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য হন এই সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। তবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রথমবার নির্বাচনে নেমে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাই তিনি এবার মন্ত্রী হচ্ছেন। তাকে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ দেওয়া হতে পারে বলেও কানাঘুষা চলছে। এটা না হলে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
তবে পীযূষ গোয়েলকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনাথ সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বেই সম্ভবত থেকে যাচ্ছেন। তেমনি তার সহকারি হিসেবে থেকে যাবেন কিরণ রিজেজু। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার কত জনকে মন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে জোর কৌতুহল তৈরি হয়েছে। গতবার ২টি আসনে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় এবং এস এস আলুওয়ালিয়া মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতো বিজয়ী মন্ত্রিত্বের দাবীদার হতে পারেন। মন্ত্রী বাড়তে পারে আসাম থেকেও। তবে কোন রাজ্য থেকে কতজনকে মন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলবে আগামী কয়েক দিনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।