পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় গেছে তুর্কি সেনবাহিনীর একটি দল। এস-৪০ এর লক্ষ্যমাত্রা সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোমিটার। যা মিসাইল শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে ৫ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদ মাধ্যম আনাদুলি এজেন্সি এ কথা জানায়। তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য তুরস্ক তার দায়দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। তুরস্ক এই পরিকল্পনা চালিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনো চলছে। হুলুসি আকার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং সিরিয়ার পূর্ব ফোরাত নদী নিয়ে আলোচনার উন্নতি হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, তুরস্ক মার্কিন তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টি মূল্যায়ন করেছে। আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের মূল্য, প্রযুক্তি হস্তান্তর, যৌথ উৎপাদন এবং সর্বশেষ অফার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক আলোচনা করছে। তুরস্ক যখন রাশিয়া থেকে এস-৪০০ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এটি ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে। অপরদিকে, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ কেনার চুক্তি বাতিলের বিষয়ে তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্র যে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিষয়টিকে চরমভাবে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করছি। আমরা এ ধরনের সময়সীমা বেধে দেওয়ার ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তুরস্ককে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এর মধ্যে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি বাতিল না করলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে ওয়াশিংটন। এছাড়াও যদি তুরস্ক রাশিয়া হতে এস-৪০০ গ্রহণ করে তাহলে মার্কিন এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। তুরস্ক ১০০টি এফ-৩৫ বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোট থেকেও তুরস্ককে বহিষ্কার করা হতে পারে। জানা যায়, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ প্রশিক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে রাশিয়ায় গেছে তুর্কি সেনবাহিনীর একটি দল। আনাদোলু, আরটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।