শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
ভবতোষ হালদার
সুবর্ণগাঁও
সুবর্ণ গাঁও তুমি আমায় কেন ডাকো!
তুমি আমার আঁতুরঘরের মালন কাঁথা;
পদ্মদীঘির মোহন মায়ায় ভুলিযে রাখো,
নিশুত রাতের পরণকথার স্বপ্নগাঁথা
তুমি আমার নতুন প্রেমের নতুন রাধা,
মায়ের সাথি প্রথম দিনের প্রথম সখি,
আমার দিদির পুষ্পবীথি প্রেমের গাঁথা
আমার বাবার আশার স্বপন চখা-চখি।
ছায়া নামে বাঁশ বাগানের দীর্ঘ সরু বনে
বাদল ঝরে ঝিলি বাজায় শুভ্র মেঘের বীণ
প্রথম কথা ওগো সখা নিবিড় তোমার সনে
বিরহ-মিলন ষড়ঋতুর হয় কভু কি ক্ষীণ!
সোয়েব পাঠান
ঠিকানা
পাখিদল নীলিমার নীলে উড়ে খোঁজে
মায়াবিনী দ্বীপ
ঝিনুক নুড়ির বালুকার দ্বীপ
যে-পথ আপন করে ফিরে পেতে চাই
আপনারি পথ
নিকানো পৃথিবীর ধূলিছায়াপথ
পঞ্চানন মল্লিক
সেলাই
মায়ের হাত একটি উঠোন সেলাই
করে করে জুড়ে রাখতে চায়,
তবুও তা ভাগ হয়ে পড়ে কৃষকের
ক্ষেতের তরমুজের মতো খামারে খামারে।
দাদাগো জানে তা জানে চাচিমারাও,
তবু স্বার্থের ফলে ক্রমে ঢেকে যায়
ঘাটের জগ ডুমুর গাছ
একপাশে পড়ে থাকে শালিকের ঘট।
আমাদের হাসি-কান্না, দুঃখ,
বেদনার সব সেখানে লেগে থাকে,
সময়ের লাল রঙা ঘুড়িগুলো চিলেন
হাসের মত ডানা পায়।
একটি ল²ীপেঁচার কাছে আশার
পুঁটলি জমা রেখে আসি,
জলাঞ্জলি দেওয়া সেসব সুখের
পায়রারা বাকুম বাকুম উড়ে যায়।
সেই শৈশব ভিজিয়ে রাখা বাড়িটির
পুকুর চোখ তবু কেঁদে ওঠে
বলে, “আয় ফিরে আবার জড়াতে
সেই সুতোয় মাখা মমতায়।”
আমরা ভিতরের প্রাণতারে ঘুমঘোরেও
তার রনণ শুনতে পাই
তাই সিয়াম সাধনার দিন শেষে মায়ের
সেলাই উঠোনে আবার এসে দাঁড়াই
খুশির গীত গাই।
জুবায়ের দুখু
চলে যায়
বিরহাতুর সুখে অ¤øান হৃদয়।
সে চলে যায়,
চলে যায় একপাল বিরহের চাঁদশ ডিঙিয়ে।
ঘোর যৌবন ক্লান্তিকর বিষণ্ণ
কি চাওয়া? কি পাওয়া?
সব ভিজিয়ে দেয় দুচোখের শ্রাবণধারায়।
পৃথিবীর পথ ছেড়ে পথিক চলে যায়
ছেড়ে যায় মানুষ মানুষ্য রেখে। বিশ্বাস করো?
যেমন স্রোত বেয়ে জল চলে যায় অচেনা গহীনে।
গোলকত্ব পৃথিবী বেঁচে রই পৃথিবী হয়ে
চলে যায় পিতা, চলে যায় মাতা,
চলে যায় সে ও তারা।
যেমন চলে গেলে তুমি নামক ভালোবাসা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।