প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর দুবাইয়ে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছে পুরো ইউনিট। দুবাইয়ের প্রায় ১৬টি মনোরম লোকেশনে ৫দিন ব্যাপী (১৪-১৮ মে ২০১৯ পর্যন্ত) এই শুটিং কার্যক্রম চলে। সেখানে একটি গান এবং বেশ কিছু অ্যাকশন দৃশ্য শুটিং করা হয়। আরিফিন শুভ, সাদিয়া নাবিলা, ফজলুর রহমান বাবুসহ আরও দু’জন অভিনেতা শুটিং-এ অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আরবিয় অভিনেতাকে দেখা যাবে সিমেনাটির দুবাইয়ের অংশে।
দুবাইয়ের প্রচণ্ড দাবদাহে মধ্যে মরুভূমির তপ্ত বালু উপর দু’দিনব্যাপী চলে একাধিক অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং। মরুভূমির প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পুরো শুটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেশ বেগ পেতে হয়। যদিও আরিফিন শুভসহ কয়েকজন অভিনেতাকে আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে শুটিং শুরুর বেশ কিছুদিন আগেই দুবাই পাঠানো হয়। তবু প্রচণ্ড বালুঝড় আর উত্তপ্ত বালু প্রতিকূলতা উপেক্ষা করার কোন উপায় ছিল না।
শুটিং প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে দুবাইয়ের বেশ ক’জন স্ট্যান্টম্যান এবং অভিনেতাকে অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি দর্শকদের কাছে বেশ উপভোগ্য হবে বলেও বিশ্বাস করছেন ছবিটির পরিচালক।
দুবাইয়ে পুরো শুটিং প্রক্রিয়াটি কো-অর্ডিনেট করেন দুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী গুলশান আরা। এ ছাড়াও দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস এবং দুবাইভিত্তিক একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে। একটি জায়গায় সিনেমার মূল গল্পের সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আবেগ এবং জীবনধারা অভূতপূর্বভাবে মিশে গিয়েছে যা সিনেমাটিকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও মনে করেন ‘মিশন এক্সট্রিম’ সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ কর্মকর্তা ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর সফল কাহিনীকার সানী সানোয়ারের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ এবং পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে ‘মিশন এক্সট্রিম’। সানোয়ারের সঙ্গে ছবিটি যৌথ ভাবে পরিচালনা করছেন ফয়সাল আহমেদ। ছাড়াও দেশী-বিদেশী বেশ ক’জনের একটি টেকনিক্যাল টিম এই শুটিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। নিকট অতীতে কোন বাংলাদেশী সিনেমার শুটিং দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়নি বিধায় ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশীরা টিমকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে অনুপ্রেরণা জোগায় বলে জানা গিয়েছে।
দুবাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার মাধ্যমে সিনেমাটির প্রায় নব্বই শতাংশ শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। অচিরেই বাকি দশ শতাংশ শুটিংও সম্পন্ন হবে। আজ বুধবার (২২ মে) থেকে শুরু হয়েছে সিনেমাটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষের দিকে ‘মিশন এক্সট্রিম’ মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছবিটির নির্মাতা সানী সানোয়ার।
এ প্রসঙ্গে সানী সানোয়ার বলেন, ‘দেশীয় সিনেমার এই ছোট বাজারের জন্য অত্যন্ত সীমিত বাজেটে সিনেমা নির্মাণ করা খুব দুরহ। কেননা, স্বল্প বাজেটে সিনেমায় মজা খুব কম থাকে। তবুও আমরা ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় দুবাইয়ের শুটিং পর্বে একটি বড় অংকের বাজেট খরচ করেছি। এটি অবশ্যই আমাদের একটি উচ্চাবিলাসী উদ্যোগ। তবে, আমাদের টার্গেট দর্শকদের মন জয় করে এই খরচ উঠিয়ে নিয়ে আসা। এখন দেখা যাক কী ঘটে। সব কিছু দিঠ থাকলে এ বছর শেষের দিকে ছবিটি মুক্তি দেওয়া পরিকল্পনা রয়েছে।’
এদিকে ছবিটি নিয়ে আরিফিন শুভ জানিয়েছেন, ‘মরুভূমিতে এতটা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শুটিং করতে হয়েছে। শুটিংয়ের সময় শুধু একটি কথাই মনে হয়েছে যে, দর্শকরা এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করবেন। তাছাড়া আমি নিজেও আমাদের দেশীয় সিনেমায় এরকম কিছু মুহূর্ত বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করতে পেরে পুলকিত ছিলাম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।