Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ হলো ভোটযুদ্ধ মোদির জয়ের পূর্বাভাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দীর্ঘ ভোটযুদ্ধের সমাপ্তি হলো গতকাল রোববার। এবার ২৩ মে ফল ঘোষণার দিকে নজর সবার। তবে রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে এখনই শুরু হয়ে গেছে বুথফেরত সমীক্ষা ও ভোট পরবর্তী সমীকরণের চর্চা। এই দৌড়ে আছে মূলত তিনটি গোষ্ঠী বা জোট। প্রথমত, বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার, দ্বিতীয়ত কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ও আঞ্চলিক দলগুলির ফেডারেল ফ্রন্ট। দেশটিতে এবার ৫৪৩ নয়, ৫৪২ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভেলোরে নির্বাচন বাতিল করেছে কমিশন।
শেষ পর্বের ভোট গ্রহণ শেষে গতকাল রাতেই প্রকাশ করা হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল। বর্তমানে এই সমীক্ষা নিয়ে ভারতের সব রাজনৈতিক মহলেই চর্চা চলছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই সমীক্ষা করে। প্রায় সব সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে বিজেপির জয় জয়কার। এর মধ্যে টাইমস নাউ-ভিএমআর এর এক্সিট পোল অনুযায়ী, ৫৪২ আসনের মধ্যে ৩০৬টি আসন পাবে এনডিএ জোট ও ১৩২টি পাবে ইউপিএ। সি ভোটার এর সমীক্ষা অনুযায়ী, এনডিএ ২৮৭টি আসন, ইউপিএ ১২৮টি আসন এবং মহাজোট ৪০ আসন পেতে পারে। অন্যান্য ৮৭টি আসন পেতে পারে। এপিবি-নিয়েলসন সমীক্ষায় বলা হয়, ২৬৭টি আসন পাবে এনডিএ জোট, ১২৭টি পাবে ইউপিএ ও অন্যান্য দলগুলো ১৪৮টি আসন পেতে পারে। তবে এক্সিট পোলের গসিপ মানি না বলে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে টাইমস নাউ-ভিএমআর এর সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল ২৮টি, বিজেপি ১১টি, বামফ্রন্ট ১টি, কংগ্রেস ২টি আসন পেতে চলেছে। সি ভোটার এর সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন, বিজেপি ১১টি আসন ও কংগ্রেস ২টি আসন পেতে চলেছে। দ্য নিয়েলসন-এর সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস ২৪টি, বিজেপি ১৬টি ও কংগ্রেস ২টি আসন পেতে পারে। তবে, সমীক্ষার ফলাফল যাই হোক শেষ পর্যন্ত কে কোন জোটে যাবে, কোন দল সরকার গড়বে, তা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
এদিকে, ভোটের আগে থেকেই ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের তোড়জোড় চলছে। মূল উদ্যোক্তা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু। যিনি আবার আগের লোকসভা ভোটেই এনডিএর সঙ্গে ছিলেন। এই জোটে সঙ্গে থাকার কথা বলেছে উত্তরপ্রদেশের বিএসপি, এসপি এবং আরএলডি, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির মতো রাজনৈতিক শক্তি। তবে অবস্থান স্পষ্ট নয় ওড়িশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি এবং তেলঙ্গানায় টিআরএস। তবে এই দলগুলিও সরকার গঠনে বড় ভ‚মিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভবানীপুরে বুথে বিকালে ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বললেন, ‘সিআরপিএফ যেভাবে বিজেপির হয়ে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, তা এর আগে কখনও দেখিনি।’
ভোটের ফল কী হবে, সেটা জানা যাবে ২৩ মে, বৃহস্পতিবার। ফল ঘোষণার পর এবং সরকার গঠনের আগে পর্যন্ত যে আরও অনেক সমীকরণ রদবদল হবে, তা এখনই বলে দিচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের সিংহভাগ অংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ