মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন কলকাতা পুলিশের সাবেক কমিশনার রাজীব কুমার। সারদা মামলার তদন্তে গ্রেফতার না হওয়ার যে রক্ষাকবচ তাকে দিয়েছিল, তা শুক্রবার প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, দীপক গুপ্ত এবং সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ জানায়, মামলার প্রয়োজনে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে সিবিআই। তবে তার অর্থ এই নয় যে, রাজীব কুমারকে সরাসরি গ্রেফতারের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট, এর অর্থ রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল দেশটির শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে জামিনের আবেদন জানাতে পারবেন রাজীব কুমার।
তবে আইন বিশেষজ্ঞদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের নির্দেশ না দিলেও, আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার দিয়েছে। এর অর্থই রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না সিবিআইয়ের। পাশাপাশি রাজীব কুমারকে জামিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়ার যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তা থেকেও স্পষ্ট যে সিবিআই প্রয়োজনে রাজীবকে গ্রেফতারও করতে পারবে।
সারদা মামলায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশ সিবিআইকে অসহযোগিতা করছে বলে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল সংস্থাটি। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সিবিআই অভিযোগ করেছিল, সারদা তদন্তে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)’র অন্যতম প্রধান কর্মকর্তা রাজীব কুমার এই মামলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য লোপাট এবং বিকৃত করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার ডেকে পাঠালেও তিনি সিবিআই এর সঙ্গে দেখা করেননি।
সিবিআইয়ের এই প্রশ্ন শুনে রাজীব কুমারকে মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু, সেই সঙ্গে রাজীবকে গ্রেফতারির রক্ষাকবচও দেয় শীর্ষ আদালত। শিলংয়ে যাওয়ার আগেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না। শিলংয়ে টানা পাঁচ দিন জেরা করা হয় রাজীব কুমারকে। তার সম্পূর্ণ রিপোর্ট একটি মুখবন্ধ খামে শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই জানায়, ওই রিপোর্টে রাজীবের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ তুলে দেয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন ‘অত্যন্ত গুরুতর’। রাজ্যের এই শীর্ষ কর্তা যে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও অত্যন্ত অসহযোগিতা করেছেন, সে তথ্যও সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল সিবিআই।
এরপরই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়, তদন্তের প্রয়োজনে অবিলম্বে রাজীব কুমারকে হেফাজতে নেয়া দরকার। সিবিআইয়ের দাবি শুনে সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকেও পাল্টা হলফনামা পেশ করার সুযোগ দেয়। ৩ মে এই নিয়ে দু’পক্ষের প্রশ্নোত্তর শোনে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সে দিন রায়দান স্থগিত রেখেছিল। শুক্রবার সেই মামলারই রায় দিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।