পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মধ্যপ্রাচ্যে ১ লাখ ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতাদের কাছে এমন একটি পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান মার্কিন সৈন্যদের ওপর হামলা করতে পারে অথবা তাদের পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করতে পারে। এ জন্য এই সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনায় ইরানে হামলা করার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। এর আগে ২০০৩ সালে ইরাকে ১ লাখ ৩০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ইরানের পরমাণু স্থাপনা ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করার জন্য ‘নাইট্রো জেসাস’ নামে একটি সাইবার যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই পরিকল্পনাই আরো জোরদার করে নতুন করে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। গত বছরের সেই পরিকল্পনা জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জন বল্টনের দিক-নির্দেশনা মেনে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ হলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু চুক্তি প্রত্যাখান করে আরো নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পরমাণু কর্মসূচি আরো জোরদার করার।
চলতি মাসের প্রথম দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ইরানের সেনাবাহিনীকে হুমকি হিসেবে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও মার্কিন স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কর্মকান্ডের জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেছিল।
মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন’র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিরিয়া এবং ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে আক্রমণ হতে পারে।
এদিকে ওয়াশিংটন জানায়, ইরানকে সতর্ক করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিসরের সুয়েজ খালে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিঙ্কন মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, বাড়তে থাকা ইরানি বাহিনীর উসকানিমূলক ইঙ্গিত ও সতর্কবার্তার প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানি ও তাদের ছায়া বাহিনীর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির প্রতিরোধক হিসেবে এই রণতরী ও বোমারু বিমান মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বোল্টন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের কোনো হামলা হলে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করে জবাব দেয়া হবে। এছাড়া ইরানের হুমকির জবাবে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে বি-৫২ স্ট্রাটোফোরট্রেস বোমারু বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অপরদিকে, ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পসের কমান্ডার আমির আলী হাজীজাদেদ বলেছেন, ‘যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আক্রমণ করে, আমরা তাদের মাথায় আঘাত করব।’ সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।