মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিরাজমান ক্রমবর্ধমান ক্রোধ ও সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে শান্তিু স্থাপনে মধ্যস্থতা করছেন ইসরাইলি ইহুদি পন্ডিত ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান ধর্মীয় নেতাদের একটি জোট। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর থেকেই এই অঞ্চলজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলা এবং ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। লন্ডন ও নিউইয়র্ক ভিত্তিক দ্য আর্ট নিউজপেপারকে গাজায় হামাসের সাবেক নেতা শেখ ইমাদ ফালোগি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেরুজালেম ঘোষণাটি ইসরাইলি সংগঠন বয়কট করতে আরব আহ্বানকে উৎসাহিত করেছে। তবে, ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের অধিকার ও নিরাপত্তা সুরক্ষা ও সাধারণ জনগণকে হত্যা বন্ধের জন্য মুসলিম ও ইহুদি ধর্মীয় পন্ডিতরা অহিংস কৌশল অবলম্বনের জন্য নিবেদিত।’ গোপন এই আন্তঃধর্মীয় প্রচেষ্টাকে ধর্মীয় নেতারা একটি ‘ধর্মীয় শান্তি নেটওয়ার্ক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইসরাইলের জাতীয় ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পশ্চিম তীরের ‘ওফরা’ বসতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইহুদি অর্থোডক্স পন্ডিত আবি গিসার তার ইসলামি সহযোগীদের প্রতি গভীর সম্মান পোষণ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ইহুদি ধর্মীয় স¤প্রদায়ের মধ্যে এই শিক্ষা দেই যে আমাদের একত্রে জীবন গড়ে তুলতে হবে। ইহুদি ও আরব, ইহুদি ও মুসলিমদের মধ্যে বিচ্ছেদ নয়, অবশ্যই সমতা থাকা উচিত।’ গিসার বর্তমানে ইসলাম ও প্যালেস্টাইনিদের অধিকার এবং ‘নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে’ আন্তঃধর্মীয় সংযোগের একজন সমর্থক। ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে এই ‘ধর্মীয় শান্তি নেটওয়ার্র্কের’ যাত্রা শুরু হয় এবং ইসরাইল, পশ্চিম তীর ও গাজায় এটি বিস্তার লাভ করে। এটি গঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল জেরুজালেম ও তার পবিত্র স্থানগুলোর শান্তি বজায় রাখা। অহিংস ধর্মীয় নীতি সম্বলিত ‘আলেকজান্দ্রিয়া ঘোষণা’য় সাক্ষর করার জন্য ২০০২ সালে সিনিয়র মিশরীয় মুফতি মোহাম্মদ সায়েদ তানতায়ি বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং ক্যানটারবারি আর্চবিশপ যোগদান করেন। বর্তমানে এই জোটে প্রায় সকল আরব দেশের মুসলিম ধর্মীয় নেতারা যুক্ত রয়েছেন। এতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিশর, জর্দান, সিরিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত ও ইরাকসহ উত্তর আফ্রিকান আরব দেশগুলোতে এই নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, স্পেন, ইতালি, নরওয়ে এবং তুরস্কের ইহুদি পন্ডিতদের সঙ্গে মুসলিম নেতারা দেখা করেছেন। তারা প্রাথমিকভাবে ইহুদি-মুসলিম সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও, তারা জেরুজালেম, ইসরাইল এবং পশ্চিম তীরের চার্চের খ্রিস্টান নেতাদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন। পোপ তাদের এই কাজের প্রশংসা করেছেন বলে তারা জানান। ইমাদ ফালোগি বলেন, ‘জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরানোর জন্য ট্রাম্পের ঘোষণা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারে ইসরাইলের কর্মকান্ডে ক্রোধ সত্তে¡ও প্রকৃত শান্তি এবং রাজনৈতিক ও স¤প্রদায়গত অধিকারের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বজুড়ে ইসলামি নেতাদের একটি বড় অংশ ইসরাইলি ইহুদি পন্ডিতদের সঙ্গে কাজ করতে চায়।’ দ্য আর্ট নিউজ পেপার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।