Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মোদিকে কটাক্ষ ঊর্মিলার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ৩:২৫ পিএম

আকাশের মেঘ যে রেডারকে ফাঁকি দিতে পারে, সেই ‘অভিনব তথ্য’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেছিলেন। এ বার ঊর্মিলা মাতণ্ডকরও একই বিষয়ে কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদিকে।

ঊর্মিলা মাতণ্ডকর একটি টুইটার পোস্টে পোষা কুকুরকে নিয়ে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন, সেই পোস্টেই প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নিয়েছেন মুম্বই উত্তর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ঊর্মিলা। বিজেপি প্রার্থী গোপাল শেট্টির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘আকাশ পরিষ্কার, কোনও মেঘও নেই। তাই আমার পোষা রোমিও স্পষ্ট ভাবে রেডারের সিগন্যাল শুনতে পাচ্ছে।’ এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ‘ক্লাউড বেনিফিট’ তত্ত্ব নিয়ে কটাক্ষ করলেন বলিউড থেকে সদ্য রাজনীতির আঙিনায় পা রাখা ঊর্মিলা।

এর আগে, একটি সাক্ষাৎকারে বিজেপির ইউটিউব চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই বলেছিলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোট অভিযানের রাতে ঝেঁপে বৃষ্টি নামায় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধবিমান পাঠানো নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। চেয়েছিলেন অভিযানই পিছিয়ে দিতে। তিনি তখন তাদের বলেন, ‘আমি বিশেষজ্ঞ নই, কিন্তু সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে, মেঘ থাকলে আমরা পাকিস্তানি রেডারের থেকে বাঁচতে পারি।’ তখনও নাকি চিন্তা ছিল। মোদির বক্তব্য, ‘আমি বললাম, ঠিক আছে। মেঘ থাকুক। ওরা রওনা হল।’

তবে প্রথম বার যে মোদিকে কটাক্ষ করলেন ঊর্মিলা, তা কিন্তু নয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়েপিক নিয়ে বলিউড অভিনেত্রী বলেন, মোদির বায়োপিক হওয়া ঠিক নয়। কারণ এই ছবিটা গণতন্ত্রের প্রতি একটা বিদ্রূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে ঊর্মিলা ছাড়াও আপ, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার তরফেও মোদির এই মন্তব্যের পর ‘ব্যঙ্গ বর্ষণ’ ছড়িয়েছে। পাঁচ বছরের ‘জুমলা’র অভিযোগ তুলে ‘মির্জা ক্লাউডি’-র নামে কবিতা যেমন ছড়িয়েছে, তেমনই ছড়িয়েছে হাতে মেঘের কার্টুন নিয়ে বিজয় মাল্যের ছবিও।

 

ইনকিলাব ডেস্ক

 

শ্রীলঙ্কায় মসজিদে উগ্রবাদী হামলা, ১ মুসলিম নিহত

 

ইনকিলাব ডেস্ক

শ্রীলঙ্কায় নতুন করে কয়েকটি মসজিদ ও মুসলমানদের দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে দেশটির কয়েকশ’ উগ্রবাদী নাগরিক। হামলার পর সংঘাতে ৪৫ বছর বয়সী এক মুসলিম নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। সেসঙ্গে সারাদেশে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইন্ডিয়া টুডে’র খবরে বলা হয়েছে, গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডেতে গির্জা ও হোটেলে আত্মঘাতী হামলার পর থেকেই দেশটির মুসলিমরা আতেঙ্কে আছেন। অনেক জায়গায় তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।

বার্তাসংস্থা এএফপিকে এক পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ গত সোমবার পুতালাম জেলার একটি মসজিদে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর মুসলিমদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। আহত মুসলিমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একদল লোক তাকে নিজের কার্পেটের ওয়ার্কশপে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ইস্টার সানডের হামলার পর থেকে এই প্রথম সংঘাতে কারও মৃত্যু হলো।

উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মারাউয়িলির এক বাসিন্দা যিনি ছুরিকাহত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিতে সাহায্য করেছেন, নিহতের নাম মোহাম্মদ আমীর মোহাম্মদ সালি বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আর যেসব এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটির মুসলিম অধ্যুষিত অংশগুলোর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উচ্ছৃঙ্খল জনতা দ্বিতীয় দিনের মতো মসজিদগুলোতে হামলা চালিয়েছে, তাদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তছনছ করেছে। মসজিদ, দোকান ও যানবাহনে আগুন দেয়ার পর টিভিতে শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান চান্দানা বিক্রমারত্নে দাঙ্গাকারীদের দমনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত অনেক মুসলিমের বাড়ি ও মসজিদ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা হাতে রড, হকিস্টিক নিয়ে সড়কে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে। মূলত রাজধানী কলম্বোর উত্তরের তিনটি জেলাতে এই সংঘাত হচ্ছে। কিন্তু, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সারা দেশেই কারফিউ জারি করা হয়েছে।

গত ২১ এপ্রিল কলম্বোর তিনটি গির্জা, তিনটি পাঁচতারকা হোটেলসহ আটটি স্থানে আত্মঘাতী হামলায় ২৫৯ জন নিহত ও ৫ শতাধিক মানুষ আহত হন।হামলার চার দিন পর আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এরপর থেকেই দেশটিতে মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। সিংহলী বৌদ্ধ প্রধান শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ লোকের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম রয়েছে।

 

 

 

 

পরমাণু চুক্তির বিষয়ে ইরানের পাশে রাশিয়া

 

ইনকিলাব ডেস্ক

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির কিছু ধারা স্থগিত রাখার অধিকার ইরানের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সোমবার রাশিয়ার সোচিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, যদি এ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পক্ষগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয় তা হলে ইরান তার দেয়া কিছু প্রতিশ্রুতি স্থগিত রাখতে পারবে। তিনি আরও বলেন, চীন ও রাশিয়া মনে করে, যেকোনো মূল্যে পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখতে হবে এবং ইরানের ওপর আমেরিকার পক্ষ থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রসঙ্গত পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে- এই শর্তে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিতে সই করে ইরান।

শুরু থেকেই চুক্তির প্রতিটি শর্তই মেনে আসছে তেহরান। এর পরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ওই সমঝোতা থেকে বেআইনি ও একতরফাভাবে আমেরিকাকে বের করে নেন। সেই সঙ্গে ২০১৫ সালে তুলে নেয়া সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরিপ্রেক্ষিতে ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি (হেভি ওয়াটার) বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার প্রথম বার্ষিকীতে ৮ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ ঘোষণা দেন।

 

 

 

লক্ষ বছর আগে অবলুপ্ত পাখির দেখা মিলল

 

ইনকিলাব ডেস্ক

ভারত মহাসাগরের উপরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাল দ্বীপ, আলডাবরা। ছবির মতো সাজানো এই দ্বীপেই এক সময় বাস ছিল ‘হোয়াইট থ্রোটেড রেল’-এর। প্রায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার বছর আগে সমুদ্রের তলদেশে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় দ্বীপটি। বাসস্থান খুইয়ে হারিয়ে গিয়েছিল পাখিটিও। কিন্তু প্রকৃতি-বিজ্ঞানীদের দাবি, আবার ফিরে এসেছে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সেই ‘হোয়াইট থ্রোটেড রেল’।

তবে এই ফিরে আসার কাহিনিও বিচিত্র। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তারা অবলুপ্তির গহ্বর থেকে ফিরে এল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, লক্ষ বছর আগের ওই ঘটনার কয়েক হাজার বছর পরে পাখিটি আবার ফিরে এসেছিল। সে সময়ে সমুদ্রের পানি নেমে গিয়েছিল। পানি নামতেই দ্বীপটি আবার জেগে ওঠে। আর তখনই পাখিটি (আকারে মুরগির মতো) ফের রাজ্য গড়ে তোলে ওই প্রবাল দ্বীপে। এই দুই ঘটনার আগের ও পরের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে এখন তারা বলছেন, ‘আলডাবরা দ্বীপে পাখিটি এখনও রয়েছে।’

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একে ‘ইটেরেটিভ ইভোলিউশন’ বলে। অর্থাৎ কি না, কোনও প্রাণীর উত্তরসূরিদের মধ্যে কোনও একটি প্রজাতির একাধিক বিবর্তন ঘটে। এবং ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ফিরে-ফিরে আসে তারা। অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে দেখা গেলেও ‘রেল’ বা মাটিতে বসবাসকারী ছোট বা মাঝারি মাপের পাখিদের মধ্যে এমন নজির এই প্রথম। পাখিদের মধ্যেই এটি বেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘লিনিয়ান সোসাইটি’তে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডেভিড মারটিল বলেন, ‘রেল বা কোনও পাখির মধ্যেই আমরা এ ধরনের ঘটনা দেখিনি। এমন কোনও উদাহরণ নেই।’

অবলুপ্তি ও ফিরে আসার ইতিহাসটা এ রকম, ‘রেল’ পরিবারের পাখিদের পূর্বপুরুষের বাস ছিল পূর্ব আফ্রিকার উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসাগরের ম্যাডাগাস্কার দ্বীপে। এক সময়ে এদের সংখ্যা এত বেড়ে যায়, যে এরা দ্বীপ ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দেয়। কেউ উত্তরের দিকে উড়ে যায়, কেউ দক্ষিণে। কিন্তু এরা কেউই তেমন উড়তে পারত না। ফলে লম্বা রাস্তা পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই ভারত মহাসাগরে ডুবে যায়। যারা পশ্চিমে যায়, তারা আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডে পৌঁছয়। কিন্তু অচেনা অজানা জায়গায় গিয়ে বিপদে পড়ে। প্রাণ হারায় অধিকাংশই। কারও কারও ভাগ্য ভাল ছিল। তারা মরিশাস, রিইউনিয়ন, আলডাবরা পৌঁছয় এবং সেখানে রাজ্যপাট গড়ে তোলে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ওড়ার ক্ষমতাটাই হারিয়ে ফেলে। কারণ ওই সব দ্বীপে তাদের ওড়ার প্রয়োজন পড়ত না। ফলে দ্বীপেই বন্দি হয়ে পড়ে। তাই দ্বীপ যখন সমুদ্রের তলদেশে ডুবতে থাকে, তারা আর পালানোর সুযোগ পায়নি। তত দিনে তারা আর একটুও উড়তে পারে না। ফলে দ্বীপের সঙ্গেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তারা। ঠিক যা ঘটেছিল, ডোডো পাখিদের ক্ষেত্রে। কিন্তু ডোডো যা পারেনি, তাই করে দেখিয়েছে ‘হোয়াইট-থ্রোটেড রেল’।

মারটিলের কথায়, ‘ভারত মহাসাগরের উপরে আলডাবরাই একমাত্র দ্বীপ, যেখানে এমন জীবাশ্ম রয়েছে, যা অবলুপ্তির প্রমাণ দেয় এবং দেখিয়ে দেয় সেখান থেকেও ফিরে আসা যায়।’

 

 

 

মোদিকে কটাক্ষ ঊর্মিলার

 

ইনকিলাব ডেস্ক

আকাশের মেঘ যে রেডারকে ফাঁকি দিতে পারে, সেই ‘অভিনব তথ্য’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেছিলেন। এ বার ঊর্মিলা মাতণ্ডকরও একই বিষয়ে কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদিকে।

ঊর্মিলা মাতণ্ডকর একটি টুইটার পোস্টে পোষা কুকুরকে নিয়ে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন, সেই পোস্টেই প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নিয়েছেন মুম্বই উত্তর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ঊর্মিলা। বিজেপি প্রার্থী গোপাল শেট্টির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘আকাশ পরিষ্কার, কোনও মেঘও নেই। তাই আমার পোষা রোমিও স্পষ্ট ভাবে রেডারের সিগন্যাল শুনতে পাচ্ছে।’ এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ‘ক্লাউড বেনিফিট’ তত্ত্ব নিয়ে কটাক্ষ করলেন বলিউড থেকে সদ্য রাজনীতির আঙিনায় পা রাখা ঊর্মিলা।

এর আগে, একটি সাক্ষাৎকারে বিজেপির ইউটিউব চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই বলেছিলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোট অভিযানের রাতে ঝেঁপে বৃষ্টি নামায় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধবিমান পাঠানো নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। চেয়েছিলেন অভিযানই পিছিয়ে দিতে। তিনি তখন তাদের বলেন, ‘আমি বিশেষজ্ঞ নই, কিন্তু সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে, মেঘ থাকলে আমরা পাকিস্তানি রেডারের থেকে বাঁচতে পারি।’ তখনও নাকি চিন্তা ছিল। মোদির বক্তব্য, ‘আমি বললাম, ঠিক আছে। মেঘ থাকুক। ওরা রওনা হল।’

তবে প্রথম বার যে মোদিকে কটাক্ষ করলেন ঊর্মিলা, তা কিন্তু নয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়েপিক নিয়ে বলিউড অভিনেত্রী বলেন, মোদির বায়োপিক হওয়া ঠিক নয়। কারণ এই ছবিটা গণতন্ত্রের প্রতি একটা বিদ্রূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে ঊর্মিলা ছাড়াও আপ, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার তরফেও মোদির এই মন্তব্যের পর ‘ব্যঙ্গ বর্ষণ’ ছড়িয়েছে। পাঁচ বছরের ‘জুমলা’র অভিযোগ তুলে ‘মির্জা ক্লাউডি’-র নামে কবিতা যেমন ছড়িয়েছে, তেমনই ছড়িয়েছে হাতে মেঘের কার্টুন নিয়ে বিজয় মাল্যের ছবিও।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ