নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তার অভিষেকটা হয়েছিল ধূমকেতুর মতো। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়ে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকে। সে বছর একের পর এক কীর্তি গড়ে বার্তা দিয়েছিলেন আগমনীর। গতির সঙ্গে স্যুইংয়ের পসরা সাজিয়ে বোকা বানিয়েছেন অনেক বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। নামের পাষে বসিয়েছেন কাটার মাস্টারের খেতাব। সেবছরই ডাক আসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে শিরোপা জেতাতেও রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। কিন্তু ভারত থেকে হালকা চোট নিয়ে ফেরাটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য। সেই যে পড়লেন আর স্বরূপে ফেরা হয়নি সাতক্ষীরার এই গতি তারকার।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যয়বহুল বোলিং করায় গত কদিনে বারবার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে মুস্তাফিজকে। বাঁহাতি পেসার দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি ফিরতে জানেন। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন, নিয়মিত উইকেটও পেয়েছেন। ৯ ওভারে ১ মেডেনে ৪৩ রান দিয়ে এদিন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফলতম বোলার যে তিনিই! বিশ্বকাপের আগে তার এই ফেরা বাংলাদেশের জন্য বিশাল এক স্বস্তির খবরই।
শুধু মুস্তাফিজই নন পেসারদের স্বর্গরাজ্যে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। একটু ব্যয়বহুল হলেও গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার অধিনায়কের কৃতিত্বও কম নয়, ৬০ রান দিলেও পেয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি উইকেট পেলেও অসাধারণ বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচের মতো এদিনও তাঁর কৃপণ বোলিংয়ের পাশে ছোট্ট করে একটি ‘অপেক্ষা’ মিশ্রিত। বিশেষ করে সাকিব। চমকে দিয়ে একাদশে ঠাঁই পাওয়া আবু জায়েদ রাহীর অভিষেকটা অবশ্য ভালো হয়নি, ৯ ওভারে ৫৬ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। ইনিংস শেষ মাঠ ছেড়েছেন খুড়িয়ে খুড়িয়ে। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ উইকেট হারানো উইন্ডিজ ৫০ ওভারে তুলতে পারে ২৪৭ রান।
ইনজুরির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই দূরে সাকিব আল হাসান। অবশেষে জাতীয় দলের সার্জিতে ফিরছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। আর ফিরেই পেয়েছেন অনন্য এক কীর্তি গড়ার সুযোগ। বিশ্বকাপেই হয়ত সেই বিরল কীর্তি সঙ্গী করেই ইংল্যান্ডে পাড়ি জমাবেন বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক। দ্রæততম সময়ে এই ক্লাবে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে দেশসেরা এই অলরাউন্ডার!
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০০০ রান ও ২৫০ উইকেট রয়েছে মাত্র ৪ জন খেলোয়াড়ের। তারা হচ্ছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি, আব্দুর রাজ্জাক, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ও শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া। আর মাত্র ৩টি উইকেট পেলে ৫ম সদস্য হিসেবে এই এলিট ক্লাবে প্রবেশ করবেন সাকিব। আগেই ৫০০০ রান পূর্ণ করা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের উইকেট সংখ্যা ২৪৯টি।
এই তালিকায় সবচেয়ে কম ম্যাচে প্রবেশ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। রাজ্জাক প্রবেশ করেছেন ২৫৮ ম্যাচে। আফ্রিদি ২৭৩ ম্যাচে, ক্যালিস ২৯৬ ম্যাচে ও জয়সুরিয়া প্রবেশ করেছেন ৩০৪ ম্যাচে। সাকিব এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৯৭টি ওয়ানডে। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ফর্ম ধরে রাখলে এই ত্রিদেশীয় সিরিজেই এই তালিকায় বিশাল ব্যবধানে সবার আগে নিজের নামটি তুলতে যাচ্ছেন সাকিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।