মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। রোববার নিজের আসনের ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদশর্নে যেয়ে কোথাও বাঁশ লাঠি হাতে জনতার তাড়া খেয়েছেন, কোথাও শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। কার্যত ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই তাকে ঘিরে বিক্ষোভ, উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কেশপুরের দোগাছিয়ায় উত্তেজনা এমন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লাঠিচার্জ এবং শূন্যে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছে। গুলিতে এক জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। অন্য দিকে ভারতীর দেহরক্ষীরও মাথা ফেটেছে। দোগাছিয়ার সেই বুথে ভারতীর পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্য দিকে দলবল নিয়ে একটি বুথে ঢুকে পড়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। পরে ভারতী ঘোষের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রতিবাদে স্থানীয় একটি কালীমন্দিরে ধর্নায় বসেন ভারতী।
বছর দেড়েক আগেও তিনি ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ আইপিএস অফিসার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার। কিন্তু এ বার তিনি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। এক সময়ের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার ভারতী ঘোষ নিজেই কেশপুর-গড়বেতার বুথে বুথে আক্রান্ত। যেখানে গিয়েছেন, কার্যত সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ভারতী। ছড়িয়েছে উত্তেজনা।
প্রথম ঘটনা ঘটে কেশপুরের শিবশক্তি হাইস্কুলের ২০৬/২০৭ নম্বর বুথে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ভারতী ঘোষ ওই বুথে যান। তার অভিযোগ বিজেপির এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এজেন্টকে বুথে ঢোকানোর চেষ্টা করতেই মহিলারা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভারতীর নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে শুরু হয় হাতাহাতি। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তাকে নিগ্রহ করার চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে তার নখ উপড়ে যায়। সেই সময় কাদতেও দেখা যায় তাকে। পরে সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেন, তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, তৃণমূল তাকে আক্রমণ করছে।
কিন্তু ভারতী ঘোষকে ঘিরে সবেচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়ায় কেশপুরের দোগাছিয়ার বুথে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী পৌঁছতেই তাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। বাঁশ, লাঠি নিয়ে তাকে তাড়া করা হয়। এর পর জনরোষ গিয়ে পড়ে গাড়িতে। ভারতীর গাড়ি ভেঙে তছনছ করে দওয়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সংবাদ মাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়ির কাচ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে, ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাতেও নিয়ন্ত্রণে না আসায় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। আরও অভিযোগ, ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর ছোড়া গুলিতে এক গ্রামবাসী জখমও হয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী সূত্রে খবর, ৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। অন্য দিকে ভারতী ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীর মাথা ফেটে যায়।
তার আগে কেশপুরের পিকুরদার বুথে উত্তেজনা ছড়ায় অন্য কারণে। ভারতীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে, তিনি লোকজন নিয়ে বুথের ভিতরে ঢুকে পড়েন। আরও অভিযোগ, বুথে ঢুকে নিজেই ছবি তুলতে শুরু করেন। এই খবর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার দফতরে পৌঁছতেই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়ে। কমিশন সূত্রে খবর, ভারতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।