Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসামে নামাজিদের ওপর পাথর নিক্ষেপ, কারফিউ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভারতের আসাম রাজ্যের হাইলাকান্দি শহরে মসজিদের বাইরে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তিন পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। এর পরই ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ওই মসজিদের বাইরে নামাজ পড়ছিলেন মুসল্লিরা। এ সময় কিছু লোকজন তাঁদের ওপরে পাথর ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এর পরই ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। তবে গত বুধবারের একটি ঘটনা নিয়ে এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত। ওইদিন মসজিদের ভেতরে নামাজ পড়ছিলেন মুসল্লিরা। ওই সময় মসজিদের বাইরে রাখা তাঁদের মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালায় কিছু লোকজন। এর পরই এ ঘটনার বিচার চাইতে স্থানীয় থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করেন তাঁরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে মসজিদের বাইরের রাস্তায় নামাজ পড়ার কথাও জানান তাঁরা। পরে শুক্রবার তাঁরা কথামতো মসজিদের বাইরের রাস্তাতেই নামাজ পড়া শুরু করেন। এ সময় তাঁদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করা হয়। আর এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। হাইলাকান্দির ডেপুটি কমিশনার কীর্তি জালি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন আসামের আবগারিমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। তিনি বলেন, ‘যেকোনো সহিংসতা ছাড়াই এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’ এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি। সাউথ এশিয়ান মনিটর জানায়, জেলা প্রশাসনের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় জেলা প্রশাসন কারফিউ জারি করেছেৃ”। পরে সন্ধ্যায় ১২ মে পর্যন্ত পুরো জেলাতে ওই কারফিউ সম্প্রসারিত করা হয়। হাইলাকান্দির ডেপুটি কমিশনার কীর্তি জাল্লি বলেন, বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ভিন্ন সম্পর্কের কারণে তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সঙ্ঘাতে লিপ্ত হচ্ছে, যেটা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূফ নিতে পারে.. সে কারণেই কারফিউ দেয়া হয়েছে”। জেলা প্রশাসন বলেছে, আসাম রাইফেলস ও সিআরপিএফসহ কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনীকেও তলব করেছে। হাইলাকান্দির মারওয়ারিপট্টি এলাকায় রমজানের প্রথম শুক্রবার জুমান নামাজের পর ঘটনার সূত্রপাত। মুসল্লিরা এ সময় মসজিদের রাস্তার পাশে নামাজ পড়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়। পুলিশ সুপার মোহনিশ মিশ্র এ তথ্য জানিয়েছেন। এলাকার অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ এটা নিয়ে আপত্তি জানালে সংঘর্ষ শুরু হয়। মিশ্র বলেন, “এ সময় পাথর নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদেরকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে কারণ পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়ে উঠছিল”। স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে, উত্তেজিত জনতা এ সময় আগুন দিযেছে, দোকান পাটে হামলা করেছে এবং যানবাহনে আগুন দিয়েছে। মিশ্র বলেন, মারওয়ারিপট্টির ছোট্ট মসজিদটির আশেপাশে বিভিন্ন ধরণের বাজার রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, এসএএম।



 

Show all comments
  • Muhammed Washim ১২ মে, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    ১টা দম্পত্তির কারনে,, দু দদেশের সাধারন মানুষ আজ ভূগতেছে
    Total Reply(0) Reply
  • Shamim Uddin ১২ মে, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    ভারতের নিশানা পাচ বছরের ভিতর মুছে যাবে। চীন দুই বছরের ধংশো হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Abdur Rouf ১২ মে, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    ভারতে ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুমৌলবাদ ক্ষমতায় তাদের প্রশ্রয়ে এতো অত্যাচার করা হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Tanvir Zaman ১২ মে, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    হে মুসলিম সম্প্রদায়, ধৈর্য ধারণ করো। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ সব জানেন এবং দেখেন। যার‍ যার কৃতকর্মের উপর আল্লাহ অবশ্যই ফল রেখেছেন। আল্লাহ সহায় হোন।
    Total Reply(0) Reply
  • ভিসা ওয়াল্ড ওয়াইড ১২ মে, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    ভারত এখন মোটেই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয়। এর জন্য রাষ্ট্র নয় রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা দায়ী! রাজনৈতিক বা ধর্মভিত্তিক, উগ্র রাজনীতি দেশটিতে অশান্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে! ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির আগুনেই পুড়ছে দেশটি। হিন্দু মুসলিম বিভক্তি, হিংসা, বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করছে। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধিয়ে ফায়দা লুটছে এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা! মুসলমানদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার মত জঘন্য ঘটনাও ঘটছে এক সময়ের গর্ব করার মত ভারত মাতার ঐতিহাসিক এই দেশটিতে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Farhad Aziz Kiron ১২ মে, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    বাংলা বিহার উড়িষ্যা ত্রিপুরা আসাম এক সময় আমাদের ছিল।এবং এরা বাংলা বলে। আসলে ওদের ধর্মের উপর ওদের আস্থা নাই তাই অন্যের ধর্মের উপর তাদের এই হামলা। মুসলমান রা তোঁ কারো ধর্মে হামলা করে না...।।
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Plowen ১২ মে, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    আল্লাহর গযব পড়বে তোদের উপর এবং যাদের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবাদ করবেনা তাদের উপর।
    Total Reply(0) Reply
  • Tasnuva Hasan Laina ১২ মে, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
    তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের দেশের, ভারত প্রেমী মুসলিম ভাই বোনরা কি এই খবর গুলি দেখে না?????
    Total Reply(0) Reply
  • Princeaziz OK ১২ মে, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
    সাম্প্রদায়িক দেশ ভারত।যেখানে গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে মানুষ খুন হয়।সেখানে এমনটা স্বভাবিক।। অথচ এইসব আমরা চিন্তাও করতে পারি না।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Md Kadir ১২ মে, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করার আহবান জানাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Aziz Sikder ১২ মে, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    আল্লাহ জালেমের বিচার তুমি কর
    Total Reply(0) Reply
  • Kabir Ahmed ১২ মে, ২০১৯, ১০:০৬ এএম says : 0
    Hey Allah, muslimder hefajot korun
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ