Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজীবের মৃত্যুর জন্য বিজেপি দায়ি, অভিযোগ কংগ্রেসের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৯, ৪:৫০ পিএম

ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর জন্য এ বার সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করলেন সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পাটেল। তিনি টুইট করে বললেন, ‘বিজেপি ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের সরকারকে সমর্থন করেছিল। আর সেই সময় বার বার বলা সত্ত্বেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেছিল প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংহের সরকার। তাকে দেয়া হয়েছিল শুধু একজন নিরাপত্তা অফিসার। গোয়েন্দা সংক্রান্ত কাজে যার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাও ছিল না। রাজীবের মৃত্যুর জন্য তা হলে দায়টা কার?’
বুধবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে রাজীবকে নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি তুলে আনেন রাহুল গান্ধীর অভিযোগের কথা। বলেন, ‘নামদার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সেনাকে আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি আজ জানাচ্ছি, আসলে সেনাকে কে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিলেন?' এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সমুদ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইএনএস-বিরাট যুদ্ধজাহাজে গোটা পরিবার নিয়ে একটি নির্জন দ্বীপে দশ দিনের ছুটি কাটাতে যান। নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেদেরও। যুদ্ধজাহাজকে ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করেন তারা!’ মোদি বলেন, ভারতীয় সেনার বিমানেও ইতালি থেকে আসা বিদেশিদের ছুটিতে নিয়ে যান। তাদের দেখভালের জন্য সেনার বিশেষ হেলিকপ্টারও মোতায়েন ছিল। আর শুধু রাজীব নন, নেহরু-ইন্দিরার আমল থেকেই এই পারিবারিক ছুটি কাটানোর চল রয়েছে বলে জানান মোদি।
তারই জবাবে বৃহস্পতিবার টুইটে আহমেদ পাটেল লেখেন, ‘কোনো শহীদ প্রধানমন্ত্রীর অবমাননা আদতে কাপুরুষতারই দৃষ্টান্ত। ওর (রাজীব) মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিলেন কারা?’
রামলীলায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হওয়ার আগেই গত কাল বিজেপি জানায়, ১৯৮৭ সালে লক্ষদ্বীপের বাঙ্গারাম দ্বীপে দশ দিনের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রাজীব। সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কাসহ ছিলেন সোনিয়ার মা, বোন, জামাইবাবুও। ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন ও তাদের ছেলে-মেয়েরাও। আর ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন সিংহের ভাই ও তার স্ত্রী। যে অর্জুনের আমলে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৫০ সালে জওহরলাল নেহরুও ‘আইএনএস দিল্লি’-তে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সময়ে পরিবারকে নিয়ে যান। সেই জাহাজের ডেকে ছোট্ট রাজীব ও সঞ্জয়ের ছবিও পোস্ট করে বিজেপি।
আহমেদ পাটেল এদিন তার টুইটে বলেন, ‘বিজেপির ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতির জন্যই রাজীবজিকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য তিনিও আজ আর আমাদের মধ্যে নেই।’
দিনকয়েক আগেই প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাজীবকে দেশের ‘এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেছিলেন। তার জবাবে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, ‘ওর (মোদি) লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন উনি (মোদি) ওর কর্মফলের জন্য অপেক্ষা করছেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ