বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোনা সদর ও আটপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণি ঝড়ে পাঁচ শতাধিক কাঁচা আধা-পাকা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, ভেঙ্গে পড়েছে সহশ্রাধিক গাছপালা। ঘর ও গাছ-পালার নীচে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে নেত্রকোনা সদর ও আটপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।
আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার জানান, স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া, রূপচঁন্দ্রপুর, গাঘড়া, নয়াপাড়া, সুতারপুর, ভবানীপুর, মোস্তফাপুর, দরিয়াবক্স, আইমাসহ ১৪টি গ্রামের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে ১৫/২০টি দোকানপাটসহ প্রায় তিন শতাধিক কাঁচা, আধা-পাকা ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত, সহশ্রাধিক গাছ-পালা উপরে যায়, ভেঙ্গে পড়ে অসংখ্য ডালপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের সময় ঘর ও গাছের ডাল পালার নীচে চাপা পড়ে এক বৃদ্ধা মহিলাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। ঝড়ের পর থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ফকির জানান, ঝড়ে মদনপুর ইউনিয়নের মদনপুর, নরেন্দ্রনগর, মনাং, নন্দীপুর সাজিউড়া, লক্ষীপুর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে পাচঁ-কাহ্নীয়া, শিব প্রাসাদপুর, দেওপুর, দুগিয়া, আতকাপাড়া, সাপমারা এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক কাচা, আধা-পাকা বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
খবর পেয়ে আটপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ খায়রুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদা আক্তার, স্বরমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নেত্রকোনা সদর ও আটপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়া কথা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা তৈরীর পর সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।