পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন রোজার ঈদের পরেই কেন্দ্র, মহানগর, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন মিশনে নামবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী অক্টোবর মাসে দলের ২১ তম সম্মেলন উপলক্ষে সারাদেশেই দলকে শক্তিশালী করতে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্য আওয়ামী লীগের। সম্মেলনের পাশাপাশি শুদ্ধি অভিযানও চালাবে ক্ষমতাসীনরা। সেজন্য ঈদের আগে বিভাগ ও জেলাগুলোতে বর্ধিত সভা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
দলের সভাপতি শেখ হাসিনা লন্ডনে এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ অবস্থায় সিঙ্গাপুরে থাকায় কেন্দ্রীয় সম্মেলনের জন্য আপাতত কোন প্রস্তুতি নেই। তবে সারাদেশে দলকে গোছগাছ করে শক্তিশালী করতে নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ।
ইতোমধ্যে মহানগর, জেলা ও উপজেলায় সর্বশেষ কবে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার দিন তারিখ দলের সাংগঠনিক সম্পাদকরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আট বিভাগে আটটি সাংগঠনিক টিম তাদের পরিকল্পনা মাফিক কাজ গুছিয়ে আনছেন। এর আলোকে কুষ্টিয়া, খুলনা, সিলেট ও নোয়াখালীতে দলের বর্ধিত সভা করে কেন্দ্রের নির্দেশনা জানানো হয়েছে। আগামী ১১ মে চট্টগ্রামে দলের নেতা ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। গ্রীষ্মের তাপদাহ ও রোজায় রোজাদারদের কষ্টের কথা চিন্তা করে সম্মেলন বা সাংগঠনিক সফরের সিদ্ধান্ত বাদ দেয় আওয়ামী লীগ। ঈদের পরেই পুরোদমে মাঠে নেমে পড়বে আওয়ামী লীগ।
সূত্র জানায়, যেসব জেলা ও উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয়নি, কোন্দল বিরাজমান, সংগঠন দুর্বল, পূণাঙ্গ কমিটি নেই, নেতৃবৃন্দ বয়স্ক ও অসুস্থ সেসব জেলা ও উপজেলায় সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যেসব জায়গায় সংগঠনে বিএনপি-জামায়াত বা অন্য সংগঠনকে অনুপ্রবেশ হয়েছে, বিতর্কিত কাজের কারণে সমালোচিত তাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। দলের শুদ্ধি অভিযানে এসব বিতর্কিতদের বাদ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া যোগ্য ও অযোগ্য নেতাদের তালিকাও করা হচ্ছে। সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্র ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে কমিটি গঠনের জন্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমেও নেতাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ইনকিলাবকে বলেন, বর্ধিত সভা করে জেলা ও উপজেলায় কী কী সমস্যা রয়েছে তা তৃণমূল নেতাদের পক্ষ থেকে শোনা হচ্ছে। সমস্যা ও তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যের আলোকে তাদেরকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করতে যা যা করণীয় তাই করা হবে। যেসব এলাকায় নেতাদের মধ্যে চরম দ্ব›দ্ব মিটমাট হলেই সমাধান সেখানে সমস্যা মিটমাট করা হবে। যেখানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিলে সংগঠন শক্তিশালী হবে সেখানে তা-ই করা হবে। আর যে এলাকায় সংগঠনকে গতিশীল করতে সম্মেলনের বিকল্প নেই সেখানে সম্মেলন দেয়া হবে।
সম্প্রতি ৫ মে সিলেট বিভাগীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় তৃণমূল নেতাদের নানা বক্তব্য, অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ। তৃণমূল নেতারা জানান, বর্তমান পদ-পদবী বহন করছেন এসব নেতারা চান না দলের সম্মেলন হোক। কারণ তারা জানেন বিগত সময়ে বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে তারা আর পদ পাবেন না। যেকোন ভাবে তারা পদে থাকতে পারলেই বাচেঁন। এছাড়া উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এমপিদের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান তারা। নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি আমাদের কথা ঢাকায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে না পৌঁছানো হয় তাহলে অচিরেই বিএনপির মতো আমাদের অবস্থা হবে।
জানতে চাইলে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ইনকিলাবকে বলেন, রোজার মাসের কারণে সল্প পরিসরে বর্ধিত সভার আয়োজন করে তৃণমূলের নানা সমস্যার আলোকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। জেলার সম্মেলনের সঙ্গে উপজেলাগুলোর সম্মেলনও আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে রংপুরের দুটি ও নীলফামারির ৩টি উপজেলায় সম্মেলন আয়োজনের জন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড চলমান। আমরা নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করি। দলের সম্মেলনের আগে জেলা-উপজেলাগুলোতেও সম্মেলন করা হয়। সে অনুযায়ী সাংগঠনিক সফর শুরু করা হবে এবং তৃণমূলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে বার্তা দেয়া হচ্ছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।