বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রচণ্ড খরতাপ সয়ে রমজানের রোজা পালন করছেন সব শ্রেণীর ধর্মপ্রাণ মানুষ। সারাদিন রোজা রাখার পর বিকেলে ইফতারির জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ইফতারির বাজারে। মহল্লার চায়ের দোকান থেকে বড় বড় হোটেল রেস্তরা সর্বত্র বাহারী পদের ইফতার সামগ্রী। এবার দাম একটু চড়া হলেও যে যার মত সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে কেনাকাটা করছেন। ইফতারির জন্য প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা বাজেট।
দিনভর হোটেল গুলো সামনে পর্দা টানিয়ে খোলা রাখলেও বিকেলে সে পর্দা সরে যাচ্ছে। সামনের টেবিলে থরে থরে সাজানো বাহারী ইফতারির পসরা। শুরু হচ্ছে হাঁক ডাক। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টের আশেপাশ্বের এলাকা লক্ষীপুর মোড়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী বিনোদপুর কাজলা, তালাইমারী, নিউমার্কেট এলাকায় জমেউঠতে শুরু করেছে ইফতারীর বাজার।
ঐতিহ্যবাহী রহমানিয়া হোটেল এবারো তাদের ‘‘ফিরনী’’ নিয়ে এসেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় পেয়াজু, বেগুনী, ভূনাবুট বিভিন্ন ধরনের কাবাব, আলু, ডিম, শ্বব্জি চপ, জিলাপী, নিমকী,হালিমসহ নানান রকম ইফতারী রয়েছে। বাটার মোড়ের জিলাপী আর শামীমের তিলের জিলাপীর কদর এখনো রয়েছে।
তীব্র গরম বলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে ঘোল ও মাঠার দোকান। ডাবও বিক্রি হচ্ছে। খেজুর মালটাসহ অনান্য ফলের সাথে বাঙ্গী ও তরমুজ আর আনারস বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা আমের জুসের জন্য করালী বিক্রি হচ্ছে। শরবতের জন্য কদর বেড়েছে বেলের। বিক্রি বেড়েছে আখের রসের। নগরীতে গড়ে ওঠা অসংখ্য ফাষ্টফুডের দোকান গুলো এখন তাদের মেন্যু বদলেছে। তাদের মেন্যুতে চিকেন তন্দুরীর পাশাপাশি বাহারি পদের ইফতারী পসরা সাজানো হয়েছে। বড় বড় রেস্তরাগুলো ইফতারীর প্যাকেজ ছেড়েছে। সামগ্রীর নাম আর দাম দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করছে। ইফতার পাটির জন্য শুরু হয়েছে বুকিং নেয়া। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এমপি বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসক পুলিশের কর্মকর্তাদের ডায়রি পূর্ন হতে চলেছে। গতকাল রাজশাহী জেলা প্রশাসক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
নগরীর বড় বড় হোটেল রেস্তরার পাশপাশি মহল্লার চা-সিঙ্গাড়া পুরির দোকান গুলো সাজিয়েছে পেয়াজু, বেগুনী, জিলেপিসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী দিয়ে। ইফতারীর অনেক অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। বাড়িতে বাড়িতে বউ ঝিরা ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন রকমারী ইফতারী বানানো নিয়ে। হযরত শাহমখদুম (রূ:) এর মাজার সংলগ্ন মসজিদসহ মসজিদে মসজিদে রোজাদারদের জন্য রয়েছে ইফতারীর ব্যবস্থা। মুসাফিরসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ইফতারীতে শামিল হচ্ছেন। সবাই মিলে কাতারে বসে ইফতার করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।