নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গতকাল লিভারপুলকে ৩-০ গোল হারিয়েছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন দলপতি লিওনেল মেসি। আর এই গোলের মধ্য দিয়েই সময়ের সেরা খেলোয়াড় পৌঁছে গেছেন ক্লাব ক্যারিয়ারে ৬০০ গোলের চূড়ায়।
মাত্র চার দিন আগে মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ক্ল্যাব ক্যারিয়ারে ৬০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তবে এই মাইলফলক ছুঁতে মেসির যেখানে লাগল ৬৮৩ ম্যাচ, সেখানে রোনালদোর লেগেছে ৮০১টি ম্যাচ। পর্তুগিজ তারকার চেয়ে ১১৮ ম্যাচ কম খেলেই তাকে ছুঁয়ে ফেললেন আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর। এ দুজনের আগে একই মাইলফলকের দেখা পাওয়া বাকি পাঁচ কিংবদন্তি- ব্রাজিলের পেলে ও রোমারিও, জার্মানির জার্ড মুলার, অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের হোসেফ বাইকান ও হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাস। অবশ্য বার্সা অধিনায়কের থেকে রোনালদোর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোলসংখ্যা বেশী। রোনালদোর ১২৬ গোলের বিপরীতে মেসি করেছেন ১১২টি গোল।
২০০১ সালে বার্সেলোরা যুব দলের হয়ে খেলার পর মেসি ২০০৪ সালে যোগ দেন মূল দলে। এরপর থেকে আপন মন্ত্রে পুরো ফুটবল বিশ্বকে বেধে রেখেছেন মোহনীয় এক মায়াজালে। ৩১ বছর বয়সেও প্রতিনিয়ত ভক্ত সমর্থকদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন বিষ্ময়। তার মাইলফলকে পৌঁছানো গোলটিও এসেছে বিষ্ময়কর এক ফ্রি-কিক থেকে।
১৪ বছর আগে ঠিক এই ১ মেতেই বদলি নেমে বার্সার জার্সিতে প্রথম গোলটি করেছিলেন মেসি। গত মার্চে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে লা লিগায় ৩-২ গোলের জয়ের ম্যাচে করেছিলেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, ঐ ম্যাচের মাধ্যমে বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে বেশী ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েন। এরপর এস্পানিয়লের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে ৩৩৫টি লিগ ম্যাচ জয়ে ইকার ক্যাসিয়ারের রেকর্ড ভঙ্গ করেন মেসি।
পাঁচবারের বর্ষসেরার বিস্ময়কর ফুটবলে প্রতিপক্ষের কোচরাও মুগ্ধ হয়ে যান। লিভারপুল কোচও জানতেন এদিন তাকে সবচেয়ে চড়া মূল্য দিতে হবে মেসির কাছে। মাঝমাঠের দখল রেখে নিজেরে পরিকল্পনা অনেকটা বাস্তবায়নও করেন ইয়ুর্গুন ক্লপ। কিন্তু সেই পরিকল্পনা দিন শেষে কোন কাজে আসেনি মেসির জারুকরী কয়েকটি মুহূর্তের কারণে। জার্মান কোচ অকপটেই স্বীকার করেছেন মেসির শ্রেষ্ঠত্বের কথা, ‘আমি আগেই জানতাম লিওনেল মেসি বিশ্বমানের খেলোয়াড়। আর এখন সেটা আমি আবারও দেখলাম। আমি বিস্মিত নই।’‘ঐসব মুহূর্তে সে অপ্রতিরোধ্য, কি দারুণ একটা গোল!’ মেসির বিস্ময়কর এই প্রতিভার রহস্য জানেন না দলীয় কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে, ‘মেসি সবসময় আপনাকে চমকে দেবে। আমি জানি না কিভাবে সে এটা করে। যখন আমাদের দরকার ঠিক তখনই সে এটা করে।’ মেসির একসময়কার কোচ পেপ গার্দিওলা একবার বলেছিলেন, ‘তাকে কোনো বিশেষণে বর্ণনা করতে যাবেন না, শুধু তার খেলাটা উপভোগ করে যান।’
মেসির ৬০০ ক্লাব গোলের মধ্যে ৪৯১টি এসেছে বাঁ-পা থেকে, আর ৮৫টি এসেছে ডান-পা থেকে। ২০১২ সালে বার্সেলোনার হয়ে মেসি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৭৯ গোল করেছিলেন। তারপরেও ঐ বছর শুধুমাত্র কোপা ডেল রে’ শিরোপা জিতেছিল বার্সা। ব্রাজিলিয়ান ফুল-ব্যাক দানি আলভেসই মেসির এই গোলের পিছনে সর্বাধিক ৪২টিতে সহযোগিতা করেছেন। তবে মাত্র এক গোল পিছিয়ে লুইস সুয়ারেজও এই তালিকায় ক্রমেই উঠে আসছেন।
পেনাল্টি শট নিয়ে মেসি কখনই খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কিন্তু এই পেনাল্টি থেকেও বার্সেলোনার হয়ে মেসি ৭০টি গোল করেছেন। তবে ফ্রি-কিকে বিশেষজ্ঞ মেসি সেট পিস থেকে গোল করেছেন ৪২টি। এর মধ্যে হ্যাটট্রিক রয়েছে ৪৫টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।