Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজেদের মধ্যেই গুলির লড়াইয়ে ভারতের সেনা সদস্য নিহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০১৯, ৫:১২ পিএম

ভারতের লোকসভা ভোটের সময় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্যে যারা এসেছেন, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যেই হল মারাত্মক গুলির লড়াই। আর এ ঘটনায় মৃত্যু হল এক সেনা সদস্যের। গুরুতর আহত হয়েছেন দু’জন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার বাগনানে। সোমবার উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে নির্বাচন। সে জন্য বাগনানের বাঙালপুর জ্যোতির্ময়ী গার্লস হাইস্কুলে তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবির। আসাম রাইফেলস্-এর সেভেন্থ ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা সেখানে শিবির করে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো না হলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সেনা সদস্যের মানসিক কিছু সমস্যা থাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যেই দুটি দলে ভাগ হয়ে যায় বাকিরা। দিন দুই আগে থেকেই দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডা চলছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তা চরমে পৌঁছায়। আর এরপরই দু’পক্ষ গুলি চালাতে শুরু করেন। প্রায় ১৮ রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ দিন সকালে এলাকার মানুষ স্কুলের ভিতর থেকে গুলির আওয়াজ পান। তার পরেই স্কুলের মধ্যে সৈনিকদের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কোনও বিষয় নিয়ে দুই সৈনিকের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আরও কয়েক জন। সেই বিতর্কর মধ্যেই গুলি চলে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদস্থ কর্তারা পৌঁছেছেন। আসাম রাইফেলস্ সূত্র জানিয়েছে, ভোলানাথ দাস নামে এক সুবেদারের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতেলে চিকিৎসাধীন রিন্টু বোধক এবং অনিল রাজবংশী নামে দুই সৈনিক। আসাম রাইফেলস্’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গুলির লড়াই নয়, একজনই গুলি চালিয়েছে। অভিযুক্ত সৈনিক লক্ষীকান্ত বর্মনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন কমান্ডান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে জেলা শাসক এবং মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার দফতরকেও। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তবে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট আসাম রাইফেলস্ কেউ সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি চলল তাও জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, এসএলআর থেকে চালানো হয়েছে গুলি। সেই এসএলআর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূত্র: টিওআই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ