Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাশ গুম করার চেষ্টা, পুলিশের কাছে ধরা খেল ট্রাকসহ ড্রাইভার রাউজান সীমান্তে

রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:০২ পিএম

একটি ট্রাকের হেলপার আঘাত জনিত কারনে মারা যাওয়ার পর লাশ গুম করার চেষ্টা চালিয়েছে একই ট্রাকের ড্রাইভার জাহাংগীর আলম। মঙ্গলবার ভোর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের রাউজান সীমান্ত থেকে ধাওয়া করে রাউজান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ট্টাকের ড্রাইভারকে আটক করেন। পুলিশ জানান, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ৬নং ওয়ার্ডের সাবমারা গ্রামের রুইচা অং মারমার ছেলে থোয়াইচিং মং মারমা (৩৬) রাউজান উপজেলার রাউজান ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুর সাত্তারের ছেলে ট্রাক ড্রাইভার মুহাম্মদ জাহাংগীরের হেলপার হিসাবে কাজ করতো। 

সূত্রমতে সোমবার রাতে মিরশরাই উপজেলার বড় হাতিয়া নামক স্থান থেকে ট্রাক ভর্তি কাঠ বোঝাই করে রাতে (ট্রাক নং চট্টমেট্টো-ট-০৫০৫৫৮) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুগারমিল এলাকার তারাবুনিয়া একটি ব্রিকফিল্ডে কাঠগুলো আনলোট করে। পরে হেলপার থোয়াইচিং মারমা ট্রাকের পিছনের ডাকনা লাগাতে গিয়ে অসাবধনবশত তা ছিটকে তার মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু ঘটে। সেসময় ড্রাইভার জাহাঙ্গীর কারো সহযোগিতা কিংবা ডাক্তারের সরনাপন্ন নাহয়ে লাশটিকে ট্রাকে তুলে পলেথিন মুড়িয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখা কিংবা,গুম, অন্য কিছু করার চেষ্টা করে ট্রাকটি নিয়ে সোজা রাঙ্গামাটি সড়ক হয়ে রাউজানে আসতে থাকে। সেসময় রাউজান সীমানা ঘোদারপাড়ে থানার ডিউটিরত পুলিশ অফিসার শ্যামল, সূজন সহ অপর পুলিশ সদস্যরা ট্রাকটিকে থামানোর সিঙ্গেল দেন, ড্রাইভার তা অমান্য করে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগুতে থাকে। এতে পুলিশের সন্দেহ জোড়ালো হয়, দ্রুত পুলিশও ট্রাকের পিছু নিয়ে অল্প দুরে গিয়ে ট্রাকটি আটক করে তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ দেখতে পায় পলেথিন মোড়ানো কিছু একটি ট্রাকের বডিতে রয়েছে। পুলিশের ধারনা ছিল চোলাই মদ নিয়ে ট্রাকটি পালাচ্ছিল। পরে পলেথিন মোড়ানোটি খুলে দেখা যায় সেখানে আস্ত একটি লাশ। পরে পুলিশ লাশ সহ ট্রাকটি রাউজান থানায় নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় রাউজান থানায় গেলে দেখা যায় ট্রাকের উপর লাশটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো রয়েছে। ট্রাকের পাশে নিহতের স্ত্রী রিচাচিং মারমা, বোন সহ নিকটজনরা বসে কান্না করছে। ডিউটি অফিসার হাসান বলেন, ওসি স্যার আইনগত যা করা দরকার তা করবেন। ওসি কেপায়েত উল্লাহ বলেন, ঘটনা যখন কাউখালীর, আমরা কাউখালী থানাকে বলেছি।কাউখালী থানা লাশটি নিয়ে যাবে,আর আইনগত ব্যাবস্থা যা যা করা দরকার তারা তা করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ উদ্ধার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ