Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

শেরপুরে দুর্ঘটনায় সিকৃবির ছাত্র নিহতের ঘটনায় মৌলভীবাজার থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার ধারা পরিবর্তনসহ ৭ দফা দাবিতে সিলেটে চলছে সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট।
সিলেট সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি, সাধারণ যাত্রী পরিবহণগুলো চলাচলেও বাঁধা সৃষ্টি করছেন শ্রমিকরা। এতে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সিলেটের।
যাত্রীরা ছাড়াও এ ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালে নগরীর বিভিন্নস্থানে পরীক্ষার্থী বহনকারী গাড়িও আটকে দেয় শ্রমিকরা।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দাবিগুলো হলো- গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার থানায় দুর্ঘটনা মামলা (নং-২২ (৩)১৯) থেকে দন্ডবিধি ৩০২ এর স্থলে ৩০৪ ধারা লাগাতে হবে। সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর ১০৫ ধারায় জরিমানার পরিমান ৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে, এই আইনে ৮৪, ৯৮ ও ১০৫ ধারাকে জামিনযোগ্য করতে হবে, এই আইনের ৮৪ ও ৯৮ পৃথক ধারা দু’টিতে জরিমানা ৩ লাখের স্থলে ৩০ হাজার করে করা, জটিল দুর্ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ধারা নির্ধারণ এবং তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা। এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুইজিশন করা যাবে না, রিকুইজিশনকালীন সময়ে চালকের খোরাকি ও গাড়ির জ্বালানী যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে।
সড়ক-মহাসড়কে তল্লাশীর নামে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে পুলিশী হয়রানী বন্ধ করতে হবে, মহাসড়কে রাত্রীকালীন ট্রাক তল্লাশী বন্ধ করা, জেলা যেকোনো নির্দিষ্টস্থানে গাড়ি তল্লাসীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কথায় কথায় সিএনজি অটোরিকশাকে রং পার্কিংয়ের নামে হয়রানী বন্ধ করা, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ করা। রেকারিংয়ের নামে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সড়ক মহাসড়কে বিভিন্ন সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করার দাবি জানান শ্রমিকরা।
এ ব্যপারে সিলেট বিভাগীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, বাস চালক ও হেলপারের গ্রেফতারে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সিকৃবি ছাত্র মারা যাওয়ার মামলায় ৩০২ ধারা যুক্ত করায় তারা এ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। এ ধারা বাতিলসহ সাত দফা দাবি তারা উপস্থাপন করেছেন। তারা এই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন চান।
ভরসা ট্রেন
সিলেট সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট চলছে। সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি কোন দুরপাল্লার পরিবহন। এমনকি সাধারণ যাত্রী পরিবহণগুলো চলাচলেও বাঁধা সৃষ্টি করছেন শ্রমিকরা। সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সিলেটের।
সিলেটের যাত্রীদের ভরসার একমাত্র পরিবহন এখন ট্রেন। তাই সকাল থেকেই সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে সাধারণ যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্ত:নগর কালনী, জয়ন্তিকা, পাহাড়িকা তিনটি ট্রেনই ছেড়েছে কয়েকগুণ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে।
বিকাল ৩টায় ছেড়ে যাওয়া পারাবত এক্সপ্রেসের জন্যও অপেক্ষায় স্টেশনে বসে আছেন হাজারো যাত্রী।
এ ব্যপারে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের অতিরিক্ত ম্যানেজার শহীদুর রহমান বলেন, ধর্মঘট চলায় সোমবার সকাল থেকে ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি হয়েছে। সকালে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো কয়েকগুণ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। এছাড়াও স্টেশেনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নিয়মমত বগি নিয়েই ধর্মঘটের দিনে সেবা দিচ্ছে ট্রেন। কোন অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ