মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া পৃথিবীর সব থেকে বিখ্যাত হীরা কোহিনুর চাওয়া সম্ভব নয় ইংল্যান্ডের কাছ থেকে, এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল দেশটির শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘ইংল্যান্ডের কাছ থেকে এই হীরা ফেরত চাওয়ার দাবির পিছনে কোনও আইনগত যুক্তি নেই।’ কয়েক দিন আগে পাকিস্তান এই হীরা ফেরত চেয়ে নিজেদের দাবির কথা জানিয়েছিল ইংল্যান্ডের কাছে।
এর আগে ‘অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তোলা একই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল ভারতের শীর্ষ আদালত। তখনও এই হীরা ফেরত চাওয়ার পিছনে কোনও যুক্তি খুঁজে পায়নি দেশের শীর্ষ আদালত।
১৮৪৯ সালে পাঞ্জাব দখলের পর ১১ বছরের কেশরী রণজিৎ সিংহের ছেলে দলীপ সিংহের সঙ্গে লাহোর চুক্তি করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেই চুক্তিমাফিক পাঞ্জাবের বালক রাজা দলীপ সিংহের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কোহিনুর হীরা নিজেদের হেফাজতে নেয়। একপাক্ষিক এই চুক্তিতে দলীপ সিংহের কাছ থেকে প্রায় জোর করেই কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এই হীরা, এমনটাই মত অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের। সেই কুখ্যাত লাহোর চুক্তির তিন নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা ছিল, ‘শাহ সুজা-উল-মুলুকের কাছ থেকে রণজিৎ সিংহ যে কোহিনুর হীরা নিয়েছিলেন, সেই হীরা ইংল্যান্ডের মহারাণিকে দেবেন দলীপ সিংহ।’
যদিও ১১ বছরের বালক দলীপ সিংহের কাছ থেকে এই হীরা কেড়ে নেওয়া নিয়ে বিবেকের দংশনে ভুগতেন রাণি ভিক্টোরিয়াও। ইংল্যান্ডে এই হীরা পৌঁছনর পর সে দেশে তুমুল উত্তেজনা হলেও তা তখনও ইংল্যান্ডের রাজমুকুটে জায়গা পায়নি। শোনা যায়, ইংল্যান্ডের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে দলীপ সিংহের কাছ থেকে ব্যক্তিগত অনুরোধের মাধ্যমে এই কোহিনুর হীরা ফের উপহার হিসেবে নিয়েছিলেন রাণি ভিক্টোরিয়া। যদিও তা যে একদমই সাজানো ঘটনা ছিল, সেকথা বিভিন্ন সময় স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিকরাও। যদিও এই সাজানো ঘটনার পরই নিজের রাজমুকুটে কোহিনুর বসিয়েছিলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চের অবশ্য বক্তব্য, ‘আমরা বিভিন্ন নথি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর এই হীরা ফেরত পাওয়ার দাবির পিছনে কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের পুরনো সিদ্ধান্তই বহাল রাখছি।’
কয়েক দিন আগে কোহিনুর হীরা ফেরত নিতে নিজেদের দাবির কথা জানিয়েছিল পাকিস্তানও। তাদের যুক্তি, লাহোর ছিল শিখ সাম্রাজ্যের রাজধানী। লাহোর চুক্তির মাধ্যমেই কোহিনুর নিজেদের হেফাজতে নেয় ইংল্যান্ড। লাহোরেই রাখা ছিল কোহিনুর। তাই এই হীরা ফেরত আসবে লাহোরেই।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধরী বলেছেন, ‘ব্রিটিশ রাজ পরিবারের হাত থেকে এই হীরা ফেরত নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা। এই হীরার লাহোর জাদুঘরে ঠাঁই পাওয়া উচিত। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড, বাংলার দুর্ভিক্ষ এবং কোহিনুর নিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ইংল্যান্ডের কাছে কলঙ্ক। প্রতিটি ঘটনার জন্যই ওদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কাছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।