প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
শাহরুখ খান। যিনি এখন বলিউড বাদশা। যাকে কিং খান বলেও ডাকা হয়। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছেন তিনি। নাম, যশ খ্যাতির উর্ধে অবস্থান করা এই অভিনেতার শুরুটা মোটেও সুখের ছিল না। আপনি কি জানেন তার সেই অতীত? শাহরুখ খান টাকার অভাবে মুম্বাইয়ের বাসস্ট্যান্ড ও সমুদ্র সৈকতের ধারে ঘুমিয়েছে। এটা কোনো সিনেমার গল্প নয়। বাদশার ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেকগুলো দিন এভাবেই কেটেছে। একটা সময় ছিল যে সময়ে শাহরুখ খান খেয়ে, না খেয়ে লক্ষে পৌছাতে মরিয়া ছিলেন।
শাহরুখ খান শৈশবে বাবা-মায়ের সাথে দিল্লির একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্কুলে শাহরুখ পড়াশোনায় যেমন দুর্দান্ত ছিলেন, তেমনি উজ্জ্বল ছিলেন হকি ও ফুটবল খেলোয়ার হিসেবে। হয়তো সেই ছাপটাই পাওয়া গেছে ‘চাক দে ইন্ডিয়া’তে।
কলেজ জীবনেই শাহরুখের মাথায় অভিনয়ের ভুত চাপে। এমন ভাবে চাপে যে, মাস্টার্সের মাঝপথেই তিনি ডিগ্রি ছেড়ে থিয়েটারে নামেন। কিন্তু যার ভাগ্যের লিখন খারাপ হয় তাকে সবদিক থেকেই যেন পেছন থেকে টানে। সে সময় এমনরটাই ঘটেছিল সুপারস্টারের জীবনে। কিন্তু বাদশা ঘাবরে যাননি। ধর্য ধরেছেন। যার ফল তিনি ভোগ করছেন।
এমনও সময় গিয়েছে সুপারস্টারের জীবনে যে সময়টাতে তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর কিছুদিন পরে মাও পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন। অভাগা যেদিকে যায় ঠিক সেদিকের সাগরই শুকায়ে যায়। এমনই ঘটেছিল শাহরুখের জীবনে।
অর্থ সংকটের সীমা ছিল না কিং খানের জীবনে। যার ফলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনের কাজ করে জীবন চালাতে হতো তাকে। যে কাজ করে তিনি আয় করতেন মাত্র ৫০ রুপি। শাহরুখ বলেন, ‘সিনেমায় অভিনয় করার লক্ষ্য নিয়ে যখন আমি মুম্বাইয়ে আসি তখন আমার থাকার জায়গা ছিল না, ছিলনা খাবারও। কোনো টাকা-পয়সাও ছিল না।’
এ সময় তিনি টিভি সিরিয়ালের ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করা শুরু করেন। সুপারস্টারের কাছে তখন সেটাই অনেক। শাহরুখ ‘কাভি হা, কাভি না’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো কাজ করেন এবং সেখান থেকে ২৫ হাজার রুপি পান। সে সময়ও তিনি মুম্বাইয়ের বাসস্ট্যান্ড ও সমুদ্র সৈকতের ধারে ঘুমাতেন। তবে ভাগ্য এক দিন শাহরুখকে ফেবার করেন। আর রাতারাতিই পেয়ে যান তারকা খ্যাতি। সময় ১৯৯৩ সাল। যে সময়টাতে শাহরুখ খানের লাইফ স্টাইল পুরোপুরিই পালটে যায়।
৫ বছরের সংগ্রামী জীবন পর মুক্তি পায় সুপারস্টারের ‘দিওয়ানা’। দিব্যা ভারতীর বিপরীতে ঋষি কাপুরের সাঙ্গে প্যারালাল চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ হয় শাহরুখের। ‘দিওয়ানা’ তখন শাহরুখের কারণেই সুপার ডুপার বামপার হিট হয়। এই ছবির প্রতিটি গান গোটা উপমহাদেশ জুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়। ১৯৯৩ সালের পরেও দীর্ঘ সময় জুড়ে ছিল ‘দিওয়ানা’ উন্মাদনা। এরপর থেকেই অর্থের পাহাড় জমা হতে থাকে শাহরুখের ঝুলিতে। বর্তমানে বাদশার নামটি বিশ্ব ধনীদের তালিকায় অন্যতম একটি নাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।