প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
‘আমি এখন এমপি হয়েছি। সবাই এখন আমার নামের পাশে এমপি শব্দটা ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা আমার মোটেও ভালো লাগে না। কারণ আমি সিনেমার মানুষ আমার পরিচয়ও এটা। আপনারা জানেন রাজনীতির চেয়ার থাকে। কিন্তু সেটা স্থায়ী নয়। আর সিনেমার হৃদয় থাকে। যেটার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের ভেতর স্থান নেওয়া যায়। আর সে স্থান চিরকালই থাকে। আমি মানুষকে অনেক ভালোবাসি। মানুষের ভালোবাসা পেতেও অনেক ভালোবাসি। আর এই ভালোবাসা পাওয়া এবং দেওয়ার একমাত্র মাধ্যমই বলা চলে সিনেমা। তাই আপনারা আমাকে এমপি আকবর পাঠান না বলে আপনাদের মিয়া ভাই হিসেবেই পরিচয় দিয়েন।’ গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকাই চলচ্চিত্রে নতুন এক প্রযোজনা সংস্থার জন্ম হলো। ‘সিনেবাজ’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুভ লগ্নে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এভাবেই বলেছেন চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।
ফারুক বলেন, ‘আজকে চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো না। এ সময় সিনেবাজের কয়েকজন মানুষ সুন্দর মন নিয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছেন সত্যি তা প্রশংসনীয়। আমার হৃদয় থেকে সিনেবাজকে ভালোবাসা দিলাম। এই প্রতিষ্ঠানকে আমি বলবো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি ফিল্ম নির্মাণ করেন। কারণ ছবির মতো ছবি বানালে মানুষ দেখতে বাধ্য। বড় বড় কথা নয়, সিনেমা বানাতে হবে। একটি জীবনের ইতিহাস নিয়েই একটি সিনেমা বানানো যায়। একজন নির্মাতাকে বলবো আপনি যদি মেকার হয়ে থাকেন একটি ভালো গল্পের ছবি বানিয়ে দেখান।’
অনুষ্ঠানটিতে সিনেমার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়েও দীর্ঘ সময় কথা বলেন এই অভিনেতা। ফারুক বলেন, ‘৭১ সালের আগে বাংলাদেশ সিনেমা করার উপযোগী ছিলো না বলে পাকিস্তানিরা মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। আমাদের সিনেমারও ভালো সময় গিয়েছে। এখন সিনেমার অবস্থা ভালো না। এরপরও হাল ছেড়ে দিলে হবে না। একদিন আমরাও পারবো। হলিউড পারলে আমরা কেনো পারবো না? তারা কি পৃথিবীর বাইরের কোনো মানুষ? তারা পারলে একদিন আমরাও পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে অনুশীলন করতে হবে।’
এই অভিনেতা আরো বলেন, ‘সিনেমার পৃথিবী এক, এটি শুধুই এফডিসির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশ ছোট হতে পারে কিন্তু এর হৃদয় পৃথিবীর চেয়ে বড়। আমরা যারা আর্টকালচারের মানুষ তাদের কোনো দেশ হতে পারে না।’
‘সিনেবাজ’র এ অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, ‘সিনেবাজ’র প্রধান নির্বাহী জোসনা ইসলাম, অভিনেতা স্বাধীন খসরু, নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরী, রোমিম রায়হান, চিত্রনায়ক রোশান, বাপ্পি চৌধুরী, চিত্রনায়িকা জলি, দেবাশীষ বিশ্বাস সহ চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষেরা।
এদিকে ‘সিনেবাজ’র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ইফতেখার চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র বিশ্ব বাজারে দেখানো হয় না। যে কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দিনে দিনে এদেশের কালচার ভুলতে বসেছেন। আমাদের পরের প্রজন্মই হয়তো বাংলাদেশের কথা ভুলে যাবে। আর সে কারণেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা। আমরা নিয়মিত ‘সিনেবাজ’ থেকে ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ করবো। দেশে এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রবাসী মানুষদের বাংলাদেশের কালচার মনে করিয়ে দেব। কেননা অনেক প্রবাসীই আছেন যারা ইতোমধ্যেই প্রিয় মাতৃভূমির কালচার ভুলতে বসেছেন। সবাই আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটির জন্য দোয়া করবেন। আমাদের পুরো টিমের জন্য দোয়া করবেন যেন ভালো কিছু করে দেশকে, দেশের মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।