Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সোনাগাজি থানার ঘটনার পুনরাবৃত্তি বগুড়ায় ?

থানায় নাজেহাল শ্লীলতাহানির শিকার তরুণী

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:৩৮ পিএম

বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল গ্রামের সদ্য বিবাহিতা এক তরুণী ১৮ এপ্রিল দুপুরে একটি সিএনজি রিজার্ভ করে বাবার বাড়ি থেকে স্বামী আলামিনের বাড়ি দরগা হাটের উদ্দেশ্যে একাই রওয়ানা হয়। তবে ওই রিজার্ভ সিএনজি অটো রিক্সার চালক নাজমুল একাপেয়ে তরুনীর সাথে খাতির জমিয়ে বলে আপনার স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথেই পড়বে আমার ভাবির বাড়ি , আপনি অনুমতি দিলে ভাবির সাথে একটু দেখা করে যাই ? যেহেতু দিনের বেলা তাই তরুণীটি না করতে পারেনি ।

এরপর এপথে ওথে ঘুরিয়ে সন্ধ্যাবেলায় বগুড়া সদরের শিকারপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নানান ছলছুতায় সিএনজি চালক একটি বাড়িতে তোলে ওই তরুনী যাত্রীকে । এরপর তাকে ওই বাড়িতে জোর করে আটকে রেখে শ্লীলতাহানী করে মেয়েটির । সিএনজি চালক নাজমুলের কথিত ভাবি এক্ষেত্রে সহযোগিতা করে ।
পরে ওই কথিত ভাবি শ্লীলতাহানীর শিকার তরুনীর স্বামীকে ফোন করে বলে আপনার স্ত্রী আমার বাড়িতে আছে , তাকে নিয়ে যান । খবর পেয়ে তরুনীর স্বামী ও তার আত্মীয় স্বজন ওই ভাবির বাড়ি থেকে তরুনীকে নিয়ে বাড়িতে গেলে তরুনী সবকিছু স্বামীকে খুলে বলে । এরপর আলামিন ও তার আত্মীয় স্বজন সিএনজি চালক নাজমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পশ্চিম বগুড়া সিএনজি মালিক সমিতির সেক্রেটারি এরশাদ ২৪ এপ্রিল তারিখে নাজমুলকে খুজে বের করে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। ওই দিন সকালে তরুনীর স্বামী আলামিন বগুড়া সদর থানায় নাজমুলের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে সকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নানাভাবে নাজেহাল হন বগুড়া সদরের ওসি এসএম বদিউজ্জামানের হাতে।

ঘটনাটি জেনে কয়েকজন সাংবাদিক ওসিকে ফোন করে মামলা নেয়া হবে কিনা , বা মামলা নেয় হচ্ছেনা কেন জানতে চাইলে প্রশ্নকর্তা সাংবাদিকদের সাথে চরম দুর্বব্যবহার করেন ওসি বদিউজ্জামান। এসব ব্যাপারে প্রশ্ন করে বিরক্ত করায় একজন সাংবাদিককে ক্ষমাও চাইতে বলেন ওসি ।
এদিকে বিচার প্রার্থী তরুনীর স্বামী আলামিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন , ভাই ওসি সাহেবের সাথে তো কথাই বলতে পারছিনা , কিছু বলতে গেলেই তিনি রেগে যাচ্ছেন, ধমকা ধমকি করছেন। এক পর্যায়ে কেঁদে কেঁদে আলামিন বলেন , ভাই ওসিতো আমার বউকে উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করছেন , বলছেন আমার বউ নাকি খারাপ !
পরে অবশ্য ঘটনাটি সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারের কানে দিলে মামলাটি রেকর্ড করে খোরশেদ নামের এক এসআইকে তদন্তভার দেয়া হয়। আর মামলাটি রাতে রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত হলেও রেকর্ডের সময় দেখানো হয়েছে দুপুর বেলা ।

 



 

Show all comments
  • mamun ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:৪৯ পিএম says : 0
    Where are we going!!! OC should be questioned by the department.
    Total Reply(1) Reply
    • Raju ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:৫৪ পিএম says : 4
      i do agree ....

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ