নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অপেক্ষা খেলা মাঠে গড়ানোর। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে ছয় জাতির এই প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপে খেলছে মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও লাওস। ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে- স্বাগতিক বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তান। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া পাঁচ বিদেশী দলের মধ্যে মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছালেও লাওস এবং কিরগিজস্তান আসছে রোববার।
টুর্নামেন্টের শিরোপায় চোখ স্বাগতিক বাংলাদেশের মেয়েদের। চ্যাম্পিয়ন হতে চায় তারা। লক্ষ্যপূরণ নিবিড় অনুশীলনে নিজেদের প্রস্তুত করেছেন মিসরাত জাহান মৌসুমী, শামসুন্নাহার, মারিয়া মান্ডারা। বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন আতœবিশ্বাসী। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতার নামানুসারে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে টুর্নামেন্টটি স্মরণীয় করে রাখতে চান তিনি। শনিবার বিকেলে বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান কোচ। তার সুরে সুর মেলান অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমীও।
কোচ ছোটন বলেন,‘বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এই টুর্নামেন্টে খেলছি।’ গ্রুপে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তান। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে যাদের তিনবার হারানোর অভিজ্ঞতা আছে লাল-সবুজের মেয়েদের। সর্বশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৭-০ ব্যবধানে জিতেছিল আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ওই একই আসরে কিরগিজস্তানকে বাংলাদেশের মেয়েরা উড়িয়ে দিয়েছিল ১০-০ গোলে।
শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্ন থাকলেও বাংলাদেশ কোচের প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তার কথায়,‘টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে আমাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আমাদের আতœবিশ্বাস বাড়বে। টুর্নামেন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ট্রফি নিজেদের ঘরেই রাখতে চাই আমরা।’
অংশগ্রহণকারী দলগুলো বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিতে খুব বেশি এগিয়ে নেই। বাংলাদেশেই হট ফেভারিট। এই প্রসঙ্গে ছোটনের মন্তব্য,‘মহিলা ফুটবলে এখন সব দলই ভালো করছে। কোনো দলকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ৯০ মিনিটের ম্যাচে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। আমরা প্রতি ম্যাচেই জয়ের জন্য মাঠে নামব। প্রথম ম্যাচটি অবশ্যই জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। মাঠে প্রতিপক্ষের খেলার ধরন দেখে কৌশল নির্ধারণ করবো। মেয়েরা জয়ের জন্য প্রস্তুত আছে।’
শনিবার সংবাদ সম্মেলনেই ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলের চুড়ান্ত স্কোয়াড। গত মার্চে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে বয়সের কারণে কেবল সাবিনা খাতুন নেই ২০ জনের বাংলাদেশ দলে। সাফ শেষে সাত দিনের বিশ্রামের পর মেয়েরা অনুশীলনের মধ্যে থাকায় দল নিয়ে আশাবাদী কোচ ছোটন।’ তিনি বলেন,‘ মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে অনুশীলনের মধ্যেই আছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চের মধ্যে আমরা দু’টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছি। সেখানে আমাদের যে ভুল ত্রুটিগুলো ছিলো, সেগুলো নিয়ে কাজ করা হয়েছে। ওই দুই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে অনেক কাজে লাগবে।’
অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমী বলেন,‘আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। দলের সবাই সুস্থ আছে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের ঘরে ট্রফি তুল টুর্নামেন্টটি স্মরণীয় করে রাখতে চাই আমরা।’ রোববার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অংশগ্রহণকারী সব দলের অধিনায়ক এবং কোচদের উপস্থিডুতে টুর্নামেন্টের ও ট্রফি উন্মোচন করা হবে।
বাংলাাদেশ দল: রুপনা চাকমা (গোলরক্ষক ), মাহমুদা আক্তার, মাসুরা পারভিন, নার্গিস খাতুন,আখি খাতুন, শিউলি আজিম, মিসরাত জাহান মৌসুমী (অধিনায়ক), শামসুন্নাহার, নিলুফার নিলা, নাজমা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, রতœা, মার্জিয়া, রাজিয়া খাতুন, সানজিদা আক্তার, সিরাত জাহান স্বপ্না, কৃষ্ণা রাণী সরকার, শামসুন্নাহার, সাজেদা খাতুন, তহুরা খাতুন ও মোসাম্মৎ সুলতানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।