চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
শেষ
তুমি কি বিশ্বাস করবে। তিনি বললেন অসম্ভব। আবু জেহেল বলে উঠল এ দাবী তোমার বন্ধু মোহাম্মদ করছে । সাথে সাথে হযরত আবু বকর (রাঃ) বলে উঠলেন,যদি তিনি বলে থাকেন তাহলে আমি অবশ্যই বিশ্বাস করলাম। তাঁর কথায় আল্লাহকে না দেখেও বিশ্বাস করেছি। এটি বিশ্বাস করতে অসুবিধা কোথায়। রাসুলে পাক সা. বললে তিনি অবশ্যই এটা সত্য বলেছেন। এ বিশ্বাসের জন্য হযরত আবু বকর (রাঃ) ছিদ্দিক উপাধি লাভ করলেন।
কাফেররা আবু জেহেলের নেতৃত্বে হযরত মুহাম্মদ সা. এর নিকট এসে মেরাজের বিভিন্ন বিষয়ে পরিক্ষামূলক প্রশ্ন করতে লাগলেন। প্রশ্ন করলেন বায়তুল মোকাদ্দস সম্পর্কে। রাসুলে করিম সা. হুবহু উত্তর দিলেন। তারা এবার পথের কিছু কাফেলার কথা জিজ্ঞেস করল। রাসুলে পাক সা. বললেন,তোমাদের প্রথম কাফেলা রওহা নামক স্থানে আমার সাথে দেখা হয়। তাদের একটি উট হারিয়ে যায়।তারা সে উটের খুঁজ ছিল। আমি তাদের কাছে পানি চেয়ে এক গ্লাস পানি পান করি। এসময় তারা উটঠি খুঁজে পাই। তাদের কেউ কেউ বলছিল এতো মুহাম্মদের আওয়াজ। তারা ফিরলে তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর।
আমি যখন যি ফাযা নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন তোমাদের আরেক কাফেলার দেখা পেলাম। তাদের একটি উটের উপর অমুক অমুক বসাছিল। আমার বোরাকের আওয়াজে উটটি ভয়ে পালাতে গেলে তারা উভয়ে উট থেকে পড়ে যায়।তাদের একজনের হাত ভেঙ্গে যায়। তারা আসলে তাদের কাছে জেনে নিও।
আমি যখন তিলভিন নামক স্থানে পৌঁছি তখন তোমাদের তৃতীয় কাফেলার সাথে আমার দেখা হয়। রক্তিম ও কাল বর্ণের একটি বুড়ো উট দেখলাম যার উপরে সাদা ও কাল দুটি মাদুর বোঝাই ছিল। তারা পৌঁছলে দেখে নিও।
তারপরও কাফেররা বিশ্বাস করতে পারলনা। তারা আবার প্রশ্ন করল এবার বলুন তারা কখন মক্কায় এসে পৌঁছবে। রাসুলে করিম সা. বললেন প্রথম কাফেলা কাল সূর্য উদিত হওয়ার আগে,দ্বিতীয় কাফেলা ঠিক দুপুর বেলায়,তৃতীয় কাফেলা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে পৌঁছবে।
কাফেররা মক্কার উঁচু পাহাড়ে গিয়ে বসে পড়ল রাসূলুল্লাহ সা. এর কথা মিথ্যে হবে এমন আশায়। অন্য দিকে সাহাবীরা রাসুলুল্লাহ সা. এর কথার সত্য মিলবে এমন আনন্দে অপেক্ষায় রইল। এক কাফির বলে উঠল সূর্য উদিত হচ্ছে অথচ কাফেলার দেখা নাই। এ কথা বলতে না বলতে এক সাহাবী বলে উঠল ঐ দেখ কাফেলা আসছে। দ্বিতীয় কাফেলাও সাসুলুল্লাহ সা. এর কথা অনুযায়ী মক্কায় পৌঁছল।তৃতীয় কাফেলা পথে একটু অসুবিধা হওয়ায় পৌঁছতে দেরী হচ্ছে সূর্য ডুবে যাওয়ার উপক্রম দেখে কাফেরা খুশিতে বলাবলি করতে লাগল মুহাম্মদের কথা সত্য হবে না। মিথ্যে হবে। আল্লাহতালা তার প্রিয় হাবীবের অসম্মানি সহ্য করতে পারেনা তাই সূর্যকে নির্দেশ দিল স্থির থাকার জন্য। যতক্ষন কাফেলা এসে পৌঁছলনা ততক্ষন সূর্য অস্ত গেলনা এ দৃশ্য দেখে অনেক কাফের ঈমান আনল আর বদ নসিব কাফেররা বলতে লাগল এ প্রকাশ্য যাদু।নাউযুবিল্লাহ।
আজো ঐ কাফেরাদের ন্যায় রাসুলুল্লাহ সা. কে নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা পোষন করে অনেকে। অথচ তারা কাফের নয় নামধারী মুসলমান। তাই ঈমানি শক্তিতে বলতে চাই যারা বিশ্বাস করে তারা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর দলের অন্তর্ভুক্ত। আর যারা অবিশ্বাসী তারা আবু জেহেলের দলের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমান রক্ষা করুক এবং তার প্রিয় হাবীবকে সকল কিছুর উর্ধ্বে ভালবাসার তৌফিক দান করুক। আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।