মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আজ ১৮ এপ্রিল ভারতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১৩ রাজ্যের ৯৭টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিজেপির পক্ষে আগের মত মোদি হাওয়ার জোর দেখা না যাওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে দলটি। এই পেক্ষাপটে ভোট শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করে নির্বাচনী প্রচারণার মূল ইস্যু পাল্টে ফেলেছেন তারা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী প্রচারণা আরো জোরদার করার পাশাপাশি সে রাজ্যে কংগ্রেসকে ভোট না দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
গত ১১ এপ্রিল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে ২০টি রাজ্যের ৯১টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। আজ দ্বিতীয় ধাপে ১৩টি রাজ্যের ৯৭টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। আজ যে সব রাজ্যে ভোট হবে সেগুলো হলঃ আসাম, বিহার, চন্ডিগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, ওড়িশ্যা, তামিলনাড়–, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও পুদুচেরি।
এদিকে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্যু পরিবর্তন করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের পর মোদি হাওয়া যে আর আগের মত জোরালো নয় তা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করা যাচ্ছে। বিজেপির মধ্যে এ নিয়ে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিজেপি তাদের প্রচারণার মূল ইস্যু করেছিল নিরাপত্তা। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালানোর পর এক্ষেত্রে বিজেপির প্রতি জোর সমর্থনের হাওয়া উঠেছিল। কিন্তু এখন তা থিতিয়ে এসেছে। তাই প্রথম ধাপের নির্বাচনের পর বিজেপি এখন নিরাপত্তা ইস্যু থেকে সরে এসে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ৫ কোটি পরিবারকে মাসে ৬ হাজার করে বার্ষিক ৭২ হাজার রুপি দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার মোকাবেলায় বিজেপি উন্নয়নকে প্রধান ইস্যু করতে বাধ্য হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আজ দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এবার এ রাজ্যে ৭ দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে যা আগে কখনো হয়নি। তৃণমুল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিজেপি বিরোধী প্রচারণা আরো জোরদার করেছেন। মোদির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। শুধু বিভাজনের রাজনীতি করেই ভোটে জিততে চাইছে ওরা। আর কংগ্রেস প্রসঙ্গে বলেন, ‹জঙ্গিপুর ও বহরমপুরে আরএসএস কংগ্রেসের জন্য কাজ করছে। প্রচার করছে। তাই ওদের একটিও ভোট দেবেন না। তিনি রাজ্যের ৪২টি আসনের সবগুলোতেই তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনার জন্য আহবান জানিয়েছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে এবারে উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলা মিলে সরকার গড়বে। সূত্র বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।