পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলে প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়ছে। জালিয়াতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কথা বলছেন ডাকসু ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
এর আগে বিভিন্ন সেশনে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কয়েক দফায় বিভিন্ন জালিয়াতকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ব্যবস্থা গ্রহণে ধীর গতির কারণে গণমাধ্যমের সংবাদে উঠে আসা আত্মস্বীকৃত জালিয়াতরা দিব্যি ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। জালিয়াতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রশাসন একমত থাকলেও কাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ভর্তি জালিয়াতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়াসহ ৪ দফা দাবিতে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। এসময় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে ভর্তি জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে উচিত জবাব দেয়া হবে উল্লেখ করে ভর্তি জালিয়াতির বিরুদ্ধে অনশন করে আলোচনায় থাকা আখতার হোসেন বলেন, বিভিন্ন বিভাগে যেসব জালিয়াত পড়াশোনা করে ঢাবিকে কলঙ্কিত করছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে। ভর্তি জালিয়াতি ও এর সাথে জড়িত মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পরে ভর্তি জালিয়তদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসি কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন।
এদিকে ভর্তি জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোচ্চার ছাত্রলীগ, ছাত্রদল থেকে শুরু ক্রিয়াশীল অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো। ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন করা হবে। ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ডাকসুতে জিএস পদে নির্বাচন করা আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, যারা ভর্তি জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে তাদের পাশাপাশি জালিয়াতদের যারা সুযোগ করে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ভর্তি জালিয়াতি করে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে চলছে। যাদের বিরুদ্ধ অভিযোগ আসছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।