Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবাহনী-মিনারভা ম্যাচে কেউ হারেনি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:১১ পিএম

এএফসি কাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও ভারতের মিনারভা পাঞ্জাব ম্যাচে কেউ হারেনি। অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয় দু’দলের লড়াই। বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনী দু’বার পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করে মিনারভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে। পাঞ্জাবের অধিনায়ক আল আমনা ও বদলী ফরোয়ার্ড শ্রেয়াশ এবং আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন ও নাইজেরিয়ান সানডে সিজোবা একটি করে গোল করেন।

বুধবারের ম্যাচে দু’বার লিড নেয় মিনারভা পাঞ্জাব। কিন্তু এই লিড শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি তারা। এএফসি কাপের রোমাঞ্চ ছড়ানো এই ম্যাচে ঢাকা আবাহনী দু’বারই গোল শোধ করে শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। যদিও ম্যাচে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ফলে জয় হাতছাড়া হয় তাদের। এই ড্র’তে লাভবান হয়ে আবাহনীই। দু’ম্যাচে এখন তাদের ঝুলিতে রয়েছে ৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে দু’ড্রতে পাঞ্জাবের ২ পয়েন্ট।

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ১-০ গোলে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদিকে হারিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও ৩ পয়েন্ট পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল তাদের। সুযোগও ছিল। ঘরের মাঠে মিনারভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিলো আবাহনী। নিজেদের ভুল পাসের খেসারতে দ্বিতীয় গোল হজম করার পরও ফের সমতায় ফেরে ঢাকার আকাশী-হলুদরা। অসংখ্য গোলের সুযোগ হাতছাড়া করায় শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

আবাহনী ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায়। এসময় মিনারভার বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের কোনাকোনি শট নেন আবাহনীর সানডে। কিন্তু বল অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি। তবে প্রথমে এগিয়ে যায় সফরকারীরাই। ম্যাচের ১৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে স্যামুয়েলের বাড়িয়ে দেয়া বল দৌড়ে এসে ডান পায়ের বাকানো শটে আবাহনীর জাল কাঁপান মিনারভা অধিনায়ক আল আমনা (১-০)। চার মিনিট পরেই সমতায় ফেরে আবাহনী। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ছোট করে বাড়িয়ে দেন বেলফোর্ট। সেই বলে আলতো ছোয়ায় পাঞ্জাবের জাল কাঁপান নাবীব নেওয়াজ জীবন (১-১)। পরের মিনিটেই তিন দফা প্রতিপক্ষের বক্সে আক্রমণ চালায় আবাহনীর ফুটবলাররা। তবে শক্ত রক্ষণে সানডে-বেলফোর্টদের বেধে ফেলেন আকাশদ্বীপ-রবার্টরা। ৪৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে রায়হান হাসান নিজেদের বক্সে সতীর্থ বেলফোর্টকে বল পাস দিতে যান। কিন্তু বলের গতি কম থাকায় তা পেয়ে যান প্রতিপক্ষের বদলী খেলোয়াড় শ্রেয়াশ। বাঁ প্রান্ত থেকে জোড়ালো কোনাকোনি শটে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড (২-১)। দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনি আবাহনী ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ডান প্রান্তে ওয়ালী ফয়সালের ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে পোস্টের খুব কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা (২-২)। ৭২ মিনিটে বক্সের বেশ কাছেই ফ্রি কিক পায় স্বাগতিক দল। কিন্তু ওয়ালী ফয়সালের বাক খাওয়ানো ফ্রি কি জড়ায়নি জালে। ৮০ মিনিটে বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জীবনের উদ্দেশ্যে পাঠান সানডে। কিন্তু জীবন ঠিকভাবে শটটি নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় আবাহনীর। বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ শেষ হয় অমিমাংসিতভাবেই। ৩০ এপ্রিল চেন্নাই এফসির সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে ঢাকা আবাহনী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ