বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহম্মদ বলেছেন, এই নৃশংস ঘটনায় আমরা নির্বাক ও হতবাক। দ্রুত বিচার আইনে এমন বর্বরোচিত ঘটনার বিচার হওয়া উচিৎ। তাহলে নুসরাতের আত্মা শান্তি পাবে। তার পরিবারের সদস্যরা সান্তনা পাবে। মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। পুলিশ শুধু বিরোধী দল দমনে ব্যস্ত। দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কোন ভূমিকা থাকেনা।
আমি রাজনৈতিক কারণে এই বক্তব্য দিচ্ছিনা। নুসরাত কিশোরী মেয়ে। তাকে যে নির্মমতায় হত্যা করা হয়েছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও হৃদয়বিদারক। একজন শিক্ষকের মেয়ে আরেক শিক্ষকের কাছে পরম আদরের সন্তানের মত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই নিষ্পাপ মেয়েটিকে প্রিন্সিপালের লালসার শিকার হতে হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকালে অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে এসব কথা বলেন মওদুদ।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহাজান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ জনিসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে নেতৃবৃন্দ নুসরাতের কবর জিয়ারত করে মোনাজাত করেন। এদিকে বিকাল ৪টায় মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের পরিদর্শক মো. বাদশা মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে প্রিন্সিপাল সিরাজউদ্দৌলা ও প্রভাষক আবছার উদ্দিনের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। বেতনও স্থগিত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।