Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাস্তা ছাড়েনি বিক্ষোভকারীরা সেনাপ্রধান অউফের পদত্যাগ

সুদানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে ১৬ বিক্ষোভকারী নিহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

সুদানে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিক্ষোভে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে পুলিশের মুখপাত্র হাসেম আলী এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির সরকারি ভবন ও মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদও হামলার কবলে পড়েছে। শুক্রবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। মাসখানেক রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের পর সেনাবাহিনীর হাতে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ক্ষমতা হারানোর পর প্রতিবাদকারীরা দ্রুত রাজনৈতিক পরিবর্তন দাবি করছেন। খবরে বলা হয়, তিন দশক ধরে দেশ শাসন করা ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের একদিন পরই বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের তোড়ে পদত্যাগে বাধ্য হলেন সুদানের সামরিক পরিষদের প্রধান আওয়াদ ইবনে অউফ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রদত্ত এক ঘোষণায় শুক্রবার এ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তার সরে যাওয়ার কথা জানান। উত্তরসুরী হিসেবে তিনি লেফটেনেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আবদেল রহমান বুরহানের নামও ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।এর আগে বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে অউফের নেতৃত্বাধীন সামরিক পরিষদ দেশ পরিচালনার ভার নেওয়ার কথা জানালেও বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরেনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডিসেম্বর থেকে সুদানজুড়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, পরে তা সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহের শেষদিকে অভ্যুত্থানে শেষ হয় বশিরের ৩০ বছরের শাসনামল। নতুন সামরিক পরিষদের জেনারেলরা বশিরের ‘খুবই ঘনিষ্ঠ’ দাবি করে বিক্ষোভকারীরা একে আগের শাসনামলের ধারাবাহিকতা হিসেবেই অভিহত করে এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পদত্যাগ করা সেনাপ্রধান ইবনে অউফ গত দশকে দারফুরের সংঘাতের সময় সামরিক গোয়েন্দাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৭ সালে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। তার পদত্যাগের খবরে খার্তুমের রাস্তায় থাকা আন্দোলনকারীরা উল্লসিত হয়ে ‘ফের পতন’ স্লোগান দিতে থাকে। বশিরবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া সুদানের প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন অউফের পদত্যাগকে ‘আন্দোলনকারীদের বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে। বেসামরিক নেতৃত্বের হাতে শাসনভার তুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত ঘরে ফেরা হবে না বলেও জানিয়েছে তারা। সামরিক পরিষদ বলেছিল, দুই বছর দেশ শাসনের পর তারা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। পরিষদের নতুন নেতা ফাত্তাহ আবদেল রহমান বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসারও আগ্রহ দেখিয়েছেন। অউফের পদত্যাগের আগে শুক্রবার সামরিক পরিষদের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের অভিপ্রায়ে শাসনভার তুলে নেয়নি। “সুদানের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা আন্দোলনকারীরাই ঠিক করবেন। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না,” বলেছিলেন তিনি। অভ্যুত্থানের পরপরই সুদানজুড়ে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, স্থগিত হয়েছিল সংবিধান। বশির ‘গ্রেপ্তার’ হলেও, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরোয়ানা মেনে তাকে অন্য কোথাও বহিঃসমর্পণ করা হবে না বলেও জানিয়েছিল সামরিক পরিষদ। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুদান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ