মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে জাতীয় নির্বাচনের প্রথম দিন পার হয়েছে বৃহস্পতিবার। সাত ধাপের নির্বাচনে পরবর্তী বা দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ করা হবে ১৮ এপ্রিল। ইতিমধ্যেই প্রথম দিনের ভোটের পর হাওয়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, ভোটের প্রাথমিক লক্ষণ বিজেপির পক্ষে স্বস্তির নয়। ফলে চিন্তা বেড়েছে তাদের। বিজেপি নেতারাই বলছেন, এবার মোদি ঝড় কোথাও দেখা যাচ্ছে না। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
বৃহস্পতিবারের কথা। দেশের বিভিন্ন স্থানে তখনও বুথের সামনে লাইন। হাতে ফলের পুরো হিসেব আসেনি। এরই মধ্যে দিল্লিতে বিজেপির এক নেতা দাবি করেন, যে ৯১টি আসনে ভোট হয়েছে, তাতে আরও ৪টি আসন বাড়িয়ে নিচ্ছে দল। ২০১৪ সালে বিজেপি এই ৯১টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ৩২টিতে। এ বার পাচ্ছে ৩৬টি। ভোটের এক দিনের মধ্যেই বিজেপি শিবিরের ছবিটা অনেক পাল্টে গেছে। বৃহস্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত জেগেছেন নেতারা। যে ২০টি রাজ্যে এদিন ভোট হয়েছে, সব জায়গা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। তার ভিত্তিতে এখন আর কোনো অতিরিক্ত আসনের দাবি করছে না দল। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিক লক্ষণ আদৌ বিজেপির পক্ষে স্বস্তির নয়।
কেন? দলের এক নেতার ব্যাখ্যা, ‘অধিকাংশ রাজ্যে গত লোকসভার থেকে কম ভোট পড়েছে। বিগত ভোটে মনমোহন সিংহ সরকারকে সরিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতায় আনার একটি তাগিদ ছিল জনতার মধ্যে। মোদি-ঝড় ছিল গোটা দেশে। কিন্তু এবারে তেমন কোনো ঝড় কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মোদিকে পরাস্ত করবে কেউ, এমন ভাবনাও নেই। কিন্তু দেশ জুড়ে মোদির পক্ষে জোরালো হাওয়া না থাকায় স্থানীয় বিষয়গুলি বড় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় জাত-পাতের অঙ্কও বড় ফ্যাক্টর।’
ভোট শুরুর অনেক আগে থেকেই বুথকে শক্ত করতে আক্রমণাত্মক ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। আরএসএসও মাঠে নেমে কাজ করেছে। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের গতিপ্রকৃতি দেখে বিজেপি শিবিরে অনেকেই মনে করছেন, ভোটারদের বুথ পর্যন্ত নিয়ে যেতেও সর্বত্র সক্ষম হচ্ছে না বিজেপি ও সঙ্ঘের কর্মীরা। কিছু দিন আগে ঠিক এই পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছিল মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে।
‘বিজেপি ইনসাইডার’ বলে একটি টুইটার হ্যান্ডেল রয়েছে, যেটি সাধারণত বিজেপির অন্দরের খবর দেয় বলে দিল্লির অলিন্দে পরিচিত। তাদের অনুমান অনেক সময় মিলেও যায়। শনিবার সকালে এই টুইটার থেকেই একটি টুইট করা হয়। যেখানে বলা হয়, দলের সা¤প্রতিকতম অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটা দেশে বিজেপি ১৫০-১৬০টি আসনে নেমে আসবে। দলের সব থেকে বেশি লোকসান হবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে।
কংগ্রেস ঠিক এই ভবিষ্যৎবাণীটিই অনেক দিন ধরে করে আসছে। তাদের মতে, গত লোকসভা ভোটে বিজেপির একার জোরে পাওয়া ২৮২টি আসন থেকে এক ধাক্কায় শ’খানেক কমে গেলে এনডিএর শরিকদের নিয়েও সরকার গড়তে পারবেন না নরেন্দ্র মোদি। কোনও মতে সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছতে পারলেও মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে না এনডিএ শরিকরাই। তবে কংগ্রেস মনে করছে, বিজেপির সংখ্যা আরও কমবে। আর সরকার গড়বে বিরোধীরা মিলে।
বিজেপি মানছে যে, বিশেষ করে বৃহস্পতিবারের ভোটে মায়াবতী-অখিলেশদের জোট অনেকটাই বাজি মেরেছে। অতীতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণ কাজ করত, এবারে সেটিও কাজ করছে না। ফলে বিজেপিকেও এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে, মেরুকরণের উগ্রতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।