ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারাল চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত সাত গোলের ম্যাচে আবাহনী ৪-৩ গোলে হারায় জামালকে। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেয় আবাহনী। অবশ্য শেষ দিকের দুই গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল শেখ জামাল। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানেই রইল আবাহনী। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট পাওয়া শেখ জামালের অবস্থান আটে।

শনিবার ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় শেখ জামাল। কিক অফের পর সানডে চিজোবার ভুল পাস থেকে বল ধরে সলোমন কিংস লম্বা করে বাড়ান সাখাওয়াত হোসেন রনিকে। বল পেয়ে রনি ক্রস করলে গোঁড়ালির টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন জামালের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো এমানুয়েল পেরেস (১-০)। ১০ মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবনের ফ্রি-কিকে আবাহনীর আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি হেডে গোল করে সমতা আনেন (১-১)।

২৭ মিনিটের আত্নঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এসময় আবাহনীর রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো হেডে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন জামাল ডিফেন্ডার মাঞ্জুর রহমান মানিক (২-১)।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ঝড় শুরু হলে খেলা বন্ধ করে দেন রেফারি। এক ঘণ্টা ১৭ মিনিট পর ফের খেলা শুরু হয়। ৬৩ মিনিটে চিজোবার কাছ থেকে বল পেয়ে নিখুঁত শটে নাইমের মাথার ওপর দিয়ে গোল করেন আবাহনীর হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট (৩-১)। ৭০ মিনিটে চিজোবার হেডে বাড়ানো বল গোলমুখ থেকে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন জীবন (৪-১)। নয় মিনিট পর সেইনে বোজানের শট শহীদুল ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি শটে ব্যবধান কমান জাকির হোসেন জিকু (২-৪)। ৯০ মিনিটে এই মিডফিল্ডার আবারো গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন (৩-৪)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।

একই দিন নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে লিগের অন্য ম্যাচে অবনমন অঞ্চলে থাকা টিম বিজেএমসি ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব গোলশূন্য ড্র করে একে অন্যের পয়েন্ট ভাগ বসায়। এই ড্র’তে ১১ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১২তমস্থানে আছে ব্রাদার্স। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া বিজেএমসির অবস্থান সবার শেষে।