Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোনালদোকে ছাড়াতে পারবেন মেসি?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:৪১ পিএম

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল সেরা অবস্থায় ছিল না জুভেন্টাস। তবে আবারো তুরিনের দলকে উদ্ধার করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
দুর্দান্ত এক হেডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের গোলসংখ্যা ১৬১ ম্যাচে ১২৫এ নিয়ে গেলেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। এই তালিকায় তার পরেই রয়েছেন লিওনেল মেসি। ব্যবধানটা ১৭ গোলের। রোনালদোর চেয়ে প্রায় তিন বছরের ছোট বার্সেলোনা কিংবদন্তি কি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে টপকে গোলের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে পারবেন?
২০০৩ সালে ইউনাইটেডের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক হয় রোনালদোর। তবে জালের দেখা পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় চার বছর। ২০০৭ সালের ১০ এপ্রিল রোমার বিপক্ষে ৭-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে জোড়া করে ইতিহাসের পথে যাত্রা শুরু করেন ৩৪ বছর বয়সী পর্তুগিজ তারকা। এর ঠিক এক যুগ পর গতকাল আয়াক্সের বিপক্ষে দর্শনীয় ডাইভিং হেডে ১২৫ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে রোনালদোর প্রশংসায় দলীয় কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি বলেন, ‘রোনালদো দেখিয়েছে সে ভিন্ন পর্যায়েরর। তার টাইমিং ও মুভমেন্ট অন্য সবার চেয়ে আলাদা- যেখানে (প্রতিপক্ষের) কিছুই করার থাকে না।’ ইতালিয়ান কোচ বলেন, ‘সে এমন একজন খেলোয়াড় যার টেকনিক অন্য সবার চেয়ে আলাদা।’
চলতি মৌসুমে আট ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন রোনালদো। ২০১৩-১৪ মৌসুমে করেছিলেন সর্বোচ্চ ১৭ গোল। তার নেতৃত্বেই সেবার শিরোপা ওঠে রিয়ালের হাতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচপ্রতি তার গোলের গড় .৭৭।
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক হয় মেসির। এরপরও গোলসংখ্যায় রোনালদোর উপরেই ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। ২০১১-১২ মৌসুমে রোনালদোর চেয়ে ১৩ গোলে এগিয়ে ছিলেন ৩১ বছর বয়সী। কিন্তু এরপর থেকে রোনালদো নিজেকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন পর্যায়ে। ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত প্রতি মৌসুমেই করেছেন কমপক্ষে ১০ গোল। তারই ফলস্বরুপ এখন ফুটবল জাদুকরের চেয়ে এগিয়ে পর্তুগিজ তারকা। মেসির ১০৮ গোল এসেছে ১৩২ ম্যাচ থেকে, গড় .৮১। ম্যাচ প্রতি তার গোল রোনালদোর চেয়ে বেশি। তাছাড়া শুধু গোল নয়, গোল করাতেও পটু বার্সা অধিনায়ক।
রোনালদো যদি গোল করা বন্ধ করে দেন তাহলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী মেসির আরো ২১ ম্যাচ লাগবে চিরপ্রতিদ্বন্ধীকে ধরতে। বার্সা যদি ২০২০-২১ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে খেলে তখন মেসির বয়স হবে ৩৩। তাছাড়া এসময় নিশ্চয় গোল করা বন্ধ রাখবেন না রোনালদো।
এ তো গেল ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার গোল দৌড়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্ধীর লড়াইয়ের কথা। তাদের পরে কারা আছেন? তারা কি পারবেন মেসি-রোনালদোকে স্পর্শ করতে? সোজা কথায় বললে Ñনা।
এই দৌড়ে তিন নম্বরে আছেন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। এখনো তিনি খেলে যাচ্ছেন এবং ৩১ বছর বয়সী ফরাসি তারকার গোলসংখ্যা ৬০, যা রোনালদোর গোলসংখ্যার অর্ধেকেরও কম। চারে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার বরার্ট লেভান্দোভস্কির গোলসংখ্যা ৫৩। প্রিমিয়ার লিগ থেকে এই তালিকার শীর্ষে সার্জিও আগুয়েরো। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের গোল ৩৬টি। রোনালদোর চেয়ে ৩০ বছর বয়সী পিছিয়ে ৮৯ গোলে!
তার মানে একথা বলা যেতেই পারে, রোনালদো আর মেসি নিজেদের যে জায়গায় প্রতিষ্ঠা করেছেন সেখানে পৌঁছানো শুধু কঠিনই নয়, বলা যায় অসম্ভবও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ