Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল মোদি সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ৬:০২ পিএম

রাফাল যুদ্ধ বিমানের মামলার প্রমাণ হিসাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দলিলপত্র ‘চুরি’ গেছে বলে মেনে নিতে নারাজ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রাফাল জেট বিমানের চুক্তির ওই সমস্ত কাগজ মন্ত্রণালয়ের অফিস থেকেই হারিয়ে গিয়েছে বলে বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রাথমিক দাবি বুধবার খারিজ করে দিয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালত।

এর অর্থ অনুমোদন ব্যতীত প্রচার মাধ্যম দ্বারা ওই শ্রেণিবদ্ধ দলিল প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে এবং ডিসেম্বর মাসের রায়ের পুনঃপরীক্ষা করার একটি শক্তপোক্ত ভিত্তি হিসাবেও ব্যবহৃত হতে পারে। রাফাল যুদ্ধ বিমানের চুক্তির বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ওই রায়ে ক্লিনচিট দিয়েছিল আদালত। গণমাধ্যমকে দমন করার জন্য কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে বহু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল, বুধবার শীর্ষ আদালতের এই রায় ভারতের সংবাদ মাধ্যমের জন্যও বড় জয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় উদ্ধৃত করে দ্য হিন্দু কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি সিরিজে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশিত ‘সমান্তরাল আলোচনার’ প্রতিবাদ করেছিল মন্ত্রণালয়। ওই দলিলের কথা উল্লেখ করে আদালতের রায় পর্যালোচনা জন্য বহু পিটিশন জমা পড়ে।

ভারতের কেন্দ্র সরকার আদালতকে জানায়, আবেদনকারীদের দায়ের করা নথিগুলি ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সংবেদনশীল!’ যারা কাগজপত্র ফটোকপি করার চক্রান্ত করেছে তারাই নথি চুরি করেছে এবং জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করে জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলছে। আদালত এই যুক্তি খারিজ করেছে। গত মাসেই শীর্ষ আদালত জানায়, তথ্য জানার অধিকার আইন প্রতিষ্ঠার পর থেকে নথিপত্রের গোপনীয়তার ধারণাটির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।

আবেদনকারী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘যদি কোনও দলিল কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয় তবে তা কীভাবে পাওয়া গিয়েছে তা অপ্রাসঙ্গিক বলেই মনে হয়।’ পেন্টাগনের কাগজপত্র ফাঁসের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, একবার নথি প্রকাশিত হলে সরকার আর সেসবের অধিকার দাবি করতে পারে না।

দ্য হিন্দু পাবলিশিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এন রাম বলেন, দলিলপত্রগুলি জনগণের স্বার্থেই প্রকাশ করা হয়েছে এবং সংবাদ সংস্থাগুলি এর উৎসগুলি সুরক্ষিত রাখবে। গত মাসে শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘কেন্দ্রের মতে, এই দলিল জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করবে এবং আদালতের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়, আমাদের এটি আরটিআই আইনের অধীনে বিবেচনা করতে হবে।’ ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে আদালত বলে, ‘দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল সংগঠনগুলিকেও আরটিআইয়ের অধীনে তথ্য প্রকাশ করতেই হবে।’

কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল দাবি করে যে, নরেন্দ্র মোদি সরকার আপত্তি সত্ত্বেও ফ্রান্সের দাসল্ট এভিয়েশন থেকে ৩৬ টি রাফাল যোদ্ধা বিমান কিনে ইউপিএ-আমলের চুক্তি পুনর্বিবেচনা করেছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ