বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার মালেকা নার্সিং হোমে গলার টনসিল অপারেশন কালে সিরাজগঞ্জের নলকা কায়েম গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ও কৃষক হারুনুর রশিদের শিশু কন্যা হুমায়রা আকতার (৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তার মৃত্যুর তথ্য গোপন রেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কৌশলে প্রাপ্য বিলের সাড়ে ১১ হাজার টাকা বুঝে নিয়েই তাকে রেফার্ড করার ঘটনাটি ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ধামাচাপা পড়ে গেল। মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবে এসংক্রান্ত রিপোর্ট পড়ে বগুড়ার সাবেক ক্রিকেটার শহীদুল ইসলাম লিখেছিলেন , ‘দেখবেন সব ঠিক ঠাক হয়ে যাবে মাত্র দুই দিনের মধ্যে। যেমনটি হয়েছিল কিছুদিন আগে ঘোড়াপট্টির ক্লিনিকের বেলায়। ওটা ছিল এ্যাপেন্ডিসাইট অপারেশন।’ বাস্তবে শহীদুল ইসলামের কথাটাই সত্য হল।
ইনকিলাবের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যে দেখো গেছে , মৃত হুমায়রাকে নিয়ে যখন এ্যাম্বুলেন্স যোগে তার বাবা ও মা’ বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কনফার্ম হয়ে ফের মালেকা নার্সিং হোমে ফিরে আসে এবং কান্নাকাটি করতে থাকে তখন বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের কিছু ক্যাডার ও নেতা সেখানে জড়ো হয়ে তাদের প্রতি সহানুভুতির অভিনয় করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার করতে থাকে । ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে বাগে আনতে এক পর্যায়ে তারা ক্লিনিকের ভিতরে ঢুঁকে ভাংচুর করে । এ খবর পেয়ে পুলিশ ও মিডিয়া কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে ঘাবড়ে যায় ক্লিনিক পরিচালকরা । প্রথমে ১ লাখ পরে যেকোন মূল্যে ঘটনাটি মিটমাট করতে হুমায়রার বাবা মা ও তার স্বজন সহ যাকে যাকে প্রয়োজন তাকেই ম্যানেজে রাজি হয়ে যায় ।
এর পরেই হামলা ভাংচুর ও প্রতিবাদকারীদের রূপ বদলে যায় । যারা হুমায়রার বাবা মা ’ মামাকে ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করতে উৎসাহ দিচ্ছিল তারাই এবার তাদেরকে দ্রুত বগুড়া থেকে কেটে পড়তে বলে এজন্য হুমকি ধামকি ও মৃত মেয়ের বিনিময়ে মোটা টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। ফলে যুগপৎ লোভ ও চাপের প্রেক্ষিতে মৃত হুমায়রাকে নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে যায় তার বাবা মা। পরে তার দাফনও সম্পন্ন হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বগুড়ার সিভিল সার্জন ও বগুড়া সদরের ওসি সাংবাদিকদের বলেন , কেউ মামলা ও অভিযোগ না করলে তো করার কিছু নেই ।
তবে ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে চলছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে ঝড়। নাট্যজন বখতিয়ার অরিফ আগা লিখেছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ডাক্তারদের সাধারণত শাস্তি পেতে হয়না।
শাহীনুর রহমান শাহীন লিখেছেন , কি আর হবে। জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটিয়েছে স্বনামধন্য ডাক্তার, তার মানহানী করার নেই আর দরকার। দফারফা করছে তো প্রশাসন। সাংবাদিক সমাজ আর লিখে কি করবেন ?
ডাঃ এমএ মতীন বলেছেন , একটি কথা আমি বুঝিনা, সব টনসিল কেন অপারেশন করতে বলা হয়। এটা কি ফায়দা হাসিলের কৌশল ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।