মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মোদিকে আগেও হিটলার বলেছেন মমতা। এ বার বললেন আরও কড়া করে। রায়গঞ্জের সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘নরেন্দ্র মোদি নিজের প্রচার ছাড়া কিছু করেন না। নিজের নামে সিনেমা বানিয়েছেন। নিজের নামে দোকান বানিয়েছেন। এই ধরনের দুর্যোধন, দুঃশাসনের মন্ত্রিসভা আগে কখনও হয়নি ভারতবর্ষে। ফ্যাসিবাদের সম্রাট। ফ্যাসিবাদী সম্রাট। হিটলার বেঁচে থাকলে আজকে লজ্জায়, গলায় দড়ি কলসি নিয়ে আত্মহত্যা করতেন।’
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী বুঝতেই পারছেন, এখানে জিততে পারবেন না। তাই ভোটের মুখে এমন সব কথা বলছেন, যার কোনও মানে নেই।’
মমতা এ দিন অবশ্য প্রথম থেকেই মোদির প্রসঙ্গে আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাপ রে, কী সাংঘাতিক লোক। দাঙ্গার কথা ভুলে যাননি তো!’ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে তার বক্তব্য, ‘বলছে ২০৪৭ সালে তাদের স্বপ্ন পুরণ হবে। এটা ২০১৯ সাল। পাঁচ বছর পরপর সরকার বদলায়। অথচ তারা ২০৪৭ সালের স্বপ্ন দেখছেন। মোদিবাবু তোমারও তো ১০০ বছর বয়স হয়ে যাবে। তখন তুমি কী করে স্বপ্ন দেখবে?’
মমতার দাবি, বিজেপি সমস্ত শক্তি দিয়ে সরকারি সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করে গায়ের জোরে নির্বাচন জিততে চায়। মমতা বলেন, ‘আমরাও রাজ্যে রাজ্যে জোট বেঁধে লড়াই করছি। যে যেখানে শক্তিশালী। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও সারা ভারতবর্ষে দেব না।’
মমতা বলেন, ‘নোটবন্দি করে জনগণের পকেট লুটেছ। অনেক দোকানদার সর্বস্বান্ত হয়েছে। অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কে লাইন দিতে গিয়ে অনেকে প্রাণ দিয়েছে। আজও দেশে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে মোদিবাবু তোমাদের আমলে। ছেলে মেয়ের চাকরি দেওয়া দূরের কথা। আপনারা বলে ছিলেন পাঁচ বছরে ১০ কোটি বেকার চাকরি দেবেন। অথচ আপনার আমলে দেশে বেকার সংখ্যা ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ।’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, যে বিরুদ্ধে বলছে, তাকেই ভয় দেখানো হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছ। কাউকে সিবিআই দিয়ে, কাউকে ইডি দিয়ে। কারও বিরুদ্ধে আয়করের রেড করছ। আর নিজে নিজে একটা চোরেদের, সব নাটের গুরু বিজেপি পার্টি। চোরেদের সুরক্ষা দিচ্ছ। যত চোর ডাকাত ওই পার্টিতে আশ্রয় নিয়েছে।’
মমতা দাবি করেন, ‘বিজেপি অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহারে গোহারা হারবে। ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব হারবে। তামিলনাড়ু, কেরালা, বাংলা, ওড়িশায় শূন্য পাবে। তা সরকার গড়বে কী ভাবে?’ তিনি বলেন, ‘অখিলেশ যাদব আমার বন্ধু। এক সঙ্গে দেশ গড়ব।’ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় সমাজবাদী পার্টির পতাকাও দেখা গিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।