Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাড়ে তিন লাখ কৃষক পরিবারে হতাশা

চলনবিলে ধানের শীষে কালো চিটা

সিংড়া (নাটোর) থেকে আনোয়ার হোসেন আলীরাজ | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

চলনবিলের সাড়ে তিন লাখ কৃষক পরিবার হতাশায় দিন গুনছেন। গত বছর আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে ডুবে যায়। আর এবার চলতি বোরো মৌসুমে ধানের শীষে কালো চিটায় কৃষকের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া নেমে এসেছে। জমির আইলে বসে হায় হুতাশ করছেন তারা। অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টি ও পরপর কয়েকটি ঝড়ো হাওয়ার কারণে বোরো ধানের শীষে কালো চিটা দেখা দিয়েছে।
নাটোরের ৫ টি উপজেলা ও তারাশে মোট ৬৬ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে চলতি বছর বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে নাটোরে ৬১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর ও তারাশে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর। ফসলটির সব ধরনের পরিচর্যার কাজ শেষ হয়ে গেছে। বোরো ধানের জমিগুলোতে শীষ বের হচ্ছে। স্বপ্নের ফসল ঘরে উঠতে বাকি আর কিছুদিন। কিন্তু এর মধ্যে অনেক জমিতে ধানের শীষে কালো চিটায় কৃষকের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া নেমে এসেছে। জমির আইলে বসে হায় হুতাশ করছেন কৃষকরা।
তাদের অভিযোগ কৃষি অফিস সঠিক পরামর্শ দিচ্ছে না। তবে কৃষি অফিস তাদের অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি কৃষকদের সচেতনতা বাড়াতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক ব্যাংক-বীমা, এনজিও এবং স্ত্রী-কন্যার গহনা বন্ধক রেখে চড়া সুদে টাকা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা থাকলেও এখন তা পুরণ হওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা। আগতিরাইল গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন, বড়িয়া গ্রামের রাজু আহমেদ, গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের ইউসুব আলী ও রামান্দ খাজুরা ইউনিয়নের শাহ আলম জানান, গত বছর আগাম বন্যায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল পানিতে ডুবে যায়। আর এবার ধানে কালো চিটা দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, অন্যের কাছ থেকে ধারদেনা, আবার কেউ কেউ এনজিও’র ঋণ এবং স্ত্রী-কন্যার গহনা বন্ধুক রেখে চড়া সুদে টাকা নিয়ে বোরো আবাদ করতে হয়েছে। স্বপ্নের ফসল ঘরে উঠতে আর কয়েকদিন বাকি। এরমধ্যে ধানে চিটা দেখে হতাশায় দিন গুনতে হচ্ছে। কিভাবে মানুষের ধারদেনা পরিশোধ করবো এবং কিভাবে ছেলে-মেয়ে মানুষ করবো?। চিন্তায় দিশেহারা হয়ে গেছি।
নাটোর ও তারাশের সাড়ে তিন লাখ কৃষক পরিবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, শিলাবৃষ্টি ও পরপর কয়েকটি ঝড়ো হাওয়ায় ধানের শীষে ঠিকমতো পরাগায়ণ হয়নি। ফলে পুরো জেলাতেই ধানে চিটা দেখা দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলনবিল

১১ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ