পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান : চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গত ৬ দিনের লাগাতার ভারীবর্ষণের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি আর বাতাসে ধানের গাছগুলো মাটি আর পানিতে পরে শুয়ে গেছে। ধান মাটিতে শুয়ে পরায় ফলন বিপর্যয়ের আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিল ২২ হাজার হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ শত হেক্টর বেশী জমিতে। সারা বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সোনালী ধানে ছেয়ে গিয়ে ছিলো ফসলের মাঠ। আর সামান্য কয়েকদিন পর ফসল ঘরে তলার আশায় ছিলো চলনবিলের কৃষকেরা। তবে কৃষকের এই আশায় গুড়ে বালি হয়েছে ভারী বৃষ্টি, শীলাও ঝড়ে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সরকারী খালসহ যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। যার ফলে ফসলের জমিতে জমে যাওয়া পানিগুলো সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হওয়ায় ডুবে গেছে ফসল।
উপজেলার মালশিন গ্রামের কৃষক শাহআলম খন্দকার, মোক্তার হোসেন, মহসিনসহ অনেকেই জানান, আর মাত্র তিন চার দিন পরেই ফসল কাটতে চেয়েছিলাম কিন্তু বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পানিতে ডুবে গেছে ফলে সময় মত ধান কাটতে না পারায় প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ ধান কম হবে। এদিকে উঁচু এলাকায় জলাবদ্ধতা না থাকলেও শিলাবৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। মাঝ দক্ষিণা এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ৩০ মিনিট শীলাবৃষ্টির কারণে বোরো ধান মাটিতে ঝড়ে যাওয়ায় কামলারা ধান কাটতে অনিহা প্রকাশ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।