Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সবচেয়ে উগ্র হিন্দুধর্ম : উর্মিলা মাতন্দকর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:৫০ পিএম

ভোটের প্রচার করতে শুরু করার পর অভিনেত্রী তথা মুম্বইয়ের (উত্তর) কংগ্রেস প্রার্থী সম্প্রতি সনাতন ধর্মকে আক্রমণ করে বসেছেন। বলেছেন, এটি সবচেয়ে উগ্র ধর্ম।

একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে উর্মিলা বলেছেন, মোদি সরকারের আমলে এই ধর্মকে সম্পূর্ণ অন্যভাবে জনগণের সামনে উপস্থিত করা হয়েছে। যে সনাতন ধর্ম সহিষ্ণুতার জন্য বিখ্যাত, মোদির আমলে সেই সনাতন ধর্মই সবচেয়ে উগ্র হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার, এই জঘন্য কাজগুলি দিনের পর দিন প্রশংসিত হয়ে আসছে। মানুষকে এসব বিশ্বাস করাতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর বরাবরের ন্যায় সমাজ তা মেনেও নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন উর্মিলা। অভিনেত্রীর এই মন্তব্যে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

সদ্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্মিলা মাতণ্ডকর। রাজনীতিতে পা দিয়েই দলের নির্দেশ মতো কাজ করতে শুরু করেন তিনি। নিরাশ করেননি দলের হেভিওয়েট নেতাদের। বরং তাঁদের নির্দেশ মতোই ‘অসহিষ্ণুতা’, ‘বাক-স্বাধীনতা’, ‘ধর্মের নামে রাজনীতি’ নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও গেরুয়া শিবিরকে তুলোধোনা করেন। বলেন, “এতদিন পরিবারের সঙ্গে দেশের দুর্দশা নিয়ে আলোচনা করতাম। এবার একটি মঞ্চ পেয়েছি তাই প্রকাশ্যে মোদি সরকারের সমালোচনা করছি।” এখানেও থামেননি উর্মিলা। নিজের স্টার স্টেটাসকে যাতে বিরোধীরা হাতিয়ার করতে না পারেন, তাই অভিনেত্রী বলেন, “আমার সততা দেখে ভোট দিন। এটাই আমার ইউএসপি।” অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সামনে অভিনেত্রী হিসেবে নন, সততার মধ্যে দিয়েই পাশের বাড়ির মেয়ে হয়ে উঠতে চাইছেন উর্মিলা।

কিন্তু রাজনীতির ময়দানে একটা নয়, অনেক হাতিয়ার নিয়েই লড়াইয়ে নামে দলগুলি। তাই উর্মিলার উইকিপিডিয়াপ্রোফাইল পালটে যায়। সম্প্রতি কেউ বা কারা উর্মিলা প্রোফাইলের নাম করে দিয়েছে মরিয়াম আখতার মীর৷ এও বলা হয়েছে যে মহসিনের সঙ্গে ‘নিকাহ’-র পরই নাকি নাম পরিবর্তন করেছিলেন অভিনেত্রী৷ ধর্মান্তরিত হয়ে উর্মিলা মুসলমান হয়ে গিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে উইকিপিডিয়ায়৷ যা দেখে অত্যন্ত বিরক্ত উর্মিলা নিজেই৷ প্রশ্ন তুলছেন, তাই-ই যদি হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা আগে কেন হয়নি? কেন তিনি রাজনীতিতে পা রাখার পরই এসব হচ্ছে? এদিকে কংগ্রেসের দাবি, উর্মিলার জনপ্রিয়তাতেই নাকি সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবির৷ তাই এভাবেই উইকিপিডিয়াকে সম্বল করে ফায়দা লুটতে চায় তারা।



 

Show all comments
  • আহমেদ শেহজাদ ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৩৫ এএম says : 0
    ভারতের কাল রাজনীতির ব্যাপারে সবাই কম বেশি জানে, তারা ভোটার থেকে ধর্ম রাজনীতি করে, নরেন্দ্র মোদীর সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা,তার মধ্যে অন্যতম মুসলমানরা এক্সামপল হিসেবে, বাবরি মসজিদের শহীদ হ‌ওয়ার বিষয় নিতে পারেন বা গোরক্ষার নামে মানূষ কে হত্যা করা, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের নেশায় পরিণত হয়েছিল।
    Total Reply(1) Reply
    • অনন্ত পথিক ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ২:৩৬ পিএম says : 4
      ভারতের বেশিরভাগ মুসল্মান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ