মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানা এবং সীমান্তে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি শ্রীনগর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শুক্রবার ফকির গুজরি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে তার প্রতিফলন হয়নি। তাই, সেই ব্যর্থতা ঢাকতে এখন যুদ্ধের গল্প শোনানো হচ্ছে। উপস্থিত জনতার সামনে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘উনি (মোদি) কথা দিয়েছিলেন, আপনাদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে জমা পড়বে। আপনারা কি ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন? যখন উনি প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলেন, তখন তাঁর মাথা ঘুরে গেল। সংসদের শেষ কয়েকদিন মোদিকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, উনি বুঝে গিয়েছেন যে উনি ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছেন।’ এরপর তিনি ব্যঙ্গের সুরে বলেন, সেই সময় কয়েকজন এমপি বলছিলেন, উনি (মোদি) নিশ্চয়ই কিছু করবেন। পাকিস্তানকে আক্রমণ করলেই দেশবাসীর মন পাওয়া যাবে। উনি তখন কী করলেন? কয়েক সেকেন্ডের জন্য তিনটি যুদ্ধবিমান সীমান্তে পাঠালেন। ওখানে বালাকোট বলে যে এলাকা রয়েছে, সেখানে বোমাবর্ষণ করা হল।’ এরপর রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যোগ করলেন, ‘সরকারের দাবি, এই অভিযানে প্রচুর জঙ্গি মারা গিয়েছে। কিন্তু, এই খবরের কোনও সত্যতা যাচাই হল না। কেউ বললেন ৫০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। কারও মতে সংখ্যাটা ৭০০। কিন্তু, একজনেরও মৃত্যু হলে গোটা বিশ্ব কি জানতে পারত না? ৩০০ জঙ্গি মারা গেলে খবরটা কি কখনও চাপা থাকত?’ অন্যদিকে, মার্কিন জার্নালের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে ফারুক জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ গুণে দেখেছে পাকিস্তানের সব এফ-১৬ যুদ্ধবিমান অক্ষত রয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান কোন এফ-১৬ বিমানকেই গুলি করে নামায়নি। মিথ্যে বলার একটা সীমা থাকে। মোদিজি সেই সীমা অতিক্রম করে একের পর এক মিথ্যে বলে চলেছেন। ফারুক আবদুল্লার আশা, নির্বাচনের পর যে দল দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করবে, তারা নিশ্চয়ই উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলবে। এভাবে রোজ রোজ মৃত্যুর মিছিল চলতে পারে না। বর্তমানে সপ্তাহে দু’দিন জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে সাধারণ যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, কার্গিল যুদ্ধের সময়েও এরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু, এখন এমন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন কী কোথাও যুদ্ধ হচ্ছে না কি?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।