Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জেনেভায় ট্রেডপলিসি রিভিউ সভায় বাংলাদেশের প্রশংসা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ বিশ^বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করেছে। রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ সুনামের সাথে এগিয়ে চলছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশের রফতানি ছিল প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে রপ্তারি লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রফতানি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। বাংলাদেশ বিশ^বাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বরাবরই বাংলাদেশ বিশ^বাণিজ্য সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে বেড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশের প্রথম ধাপ সফল ভাবে অতিক্রম করেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। তখন বিশ^বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নয়নশীল বাংলাদেশের জন্য ডবিøউটিও এর সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে ট্রিপস চুক্তির মেয়ার বৃদ্ধির সুবিধা বাংলাদেশের প্রয়োজন। ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এলডিসি ভুক্ত দেশগুলো এ সুবিধা পাবে।
ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন পেপারলেস ট্রেডে সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ডবিøউটিও এর পেপারলেস ট্রেড পলিসি চুক্তিতে প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন-২০২১’ ঘোষণা করেছেন। ২০২১ সালেই আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে বিশে^র উন্নত দেশ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত বুধবার জেনেভায় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তরে বাংলাদেশের ৫ম ট্রেডপলিসি রিভিউ-এর প্রথম সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ও সংস্কার সমূহ তুলে ধরতে গিয়ে এসব কথা বলেন। ডবিøউটিও ট্রেডপলিসি রিভিউ বডির চেয়াম্যান অ্যাম্বাসেডর টিহাংকির সভায় সভাপতিত্ব করেন।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রæত এগিয়ে চলছে। দেশি-বিদেশী বিেিয়াগকারীরা বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। আগামী ১৫ বছরে এখানে ১০ মিলিয়নের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অতিরিক্ত রফতানি আয় হবে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, সভায় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রায় সকল সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভায় প্রতিবেদন এবং সদস্য দেশ সমূহের লিখিত প্রশ্নের আলোকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আজ শুক্রবার বাংলাদেশের ট্রেডপলিসি রিভিউ এর দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ১৮টি দেশ ১৪০টি লিখিত প্রশ্ন দাখিল করেছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল উক্ত প্রশ্ন সমূহের জবাব দিবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি’র নেতৃত্বে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জেনেভাস্থ বালাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসানসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ ট্রেডপলিসি রিভিউ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. রবার্তো আজাভেদো‘র সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন।#########

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেনেভা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ