পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : জেনেভায় অনিশ্চয়তার মধ্যে শুক্রবার সিরিয়া বিষয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাশার বিরোধী একটি প্রধান গ্রুপ জানিয়েছে তারা এ বৈঠকে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর ইউরোনিউজ। সউদী সমর্থিত উচ্চ আলোচনা কমিটি (এইচএনসি) নামক গ্রুপটি বলে, তারা আলোচনায় যোগ দেয়ার আগে সিরিয়ার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে চায়।
এইচএনসি সদস্য হিন্দ খাবাওয়াত তাদের লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা জাতিসংঘের সাথে যে দু’টি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি তা হল মানবিক ও রাজনৈতিক বন্দী সমস্যা। আমাদের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ। দাবি পূরণ করা হলে আমরা আলোচনায় অংশ নেব।
এইচএনসি জানায়, তারা সরকারি জেলখানাগুলোতে আটক ৩ হাজার সিরিয় নারী ও শিশুর একটি তালিকা তৈরি করেছে যাদের মুক্তি দিতে হবে।
গ্রুপের প্রতিনিধিরা জানান, তাদের মানবিক দাবিগুলো পূরণ করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরবের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পাবার পর তারা আলোচনায় যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বিরোধী গ্রুপ অন্যান্য দাবির সাথে অবরোধ প্রত্যাহার ও ঘেরাও তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে আরো রয়েছে বেসামরিক এলাকায় রাশিয়া সমর্থিত হামলা বন্ধ করা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান আলোচনায় এইচএনসির যোগদানে দ্বিধার জন্য মস্কোকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হল যে বিরোধীদের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। বিরোধীদের এলাকায় রাশিয়ার অব্যাহত বোমাবর্ষণ তাদের জন্য গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহিলা মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সকল পক্ষের সহযোগিতার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা সকল পক্ষকে এ কাজে সংশ্লিষ্ট হতে, পূর্বশর্ত দেয়া থেকে বিরত থাকার এবং সিরিয়া সংকটের একটি কার্যকর রাজনৈতিক সমাধান অর্জনে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
প্রেসিডেন্ট বাশারের একটি প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই আলোচনায় যোগ দিয়েছে এবং জাতিসংঘ দূত স্ট্রাফান দ্য মিস্তুরার সাথে আলোচনা শুরু করেছে।
জাতিসংঘের উদ্যোগে এ আলোচনা ৬ মাস চলবে। বিভিন্ন পক্ষের সাথে পৃথক ভাবে আলোচনা হবে। তবে এ আলোচনায় সিরিয়ার ৫ বছর ব্যাপী যুদ্ধের অবসান হবে এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ।
রয়টারস বার্তা সংস্থার কাছে এক মন্তব্যে এক পশ্চিমা কূটনীতিক শুরুর আগেই এ আলোচনাকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে আখ্যায়িত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।