পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রারাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা বিহারি ক্যাম্পে গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে র্যাব। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পযন্ত এ অভিযান চলে। এসময় বিহারি ক্যাম্প এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের ৩শ’জন নারী-পুরুষ ও তরুণকে আটক করা হয়েছে। অভিযানের পর জেনেভা ক্যাম্প প্রায় পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। পরে ১৫৩জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বিভিন্ন মেয়াদে ৭৭জনকে সাজা দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। ৭৬জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় ১৩হাজার পিচ ইয়াবা ও ৩০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার বিহারি ক্যাম্পে এ অভিযান চালালো র্যাব। ক্যাম্পে প্রবেশের প্রধান ৬টি পথ রয়েছে। এছাড়া আরও ছোট ছোট অনেক পথ আছে। এগুলো সব বন্ধ করে র্যাবের ৩৬টি টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের র্যাব-২ এর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। জেনেভা ক্যাম্পে র্যাবের অভিযানঅভিযান শেষে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, যাচাই-বাছাই করার পর যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের আটক রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হবে। জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা আজকের নয়, অনেক পুরনো। ঘনবসতির কারণে এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা কঠিন। আমরা সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একাধিক টিম নিয়ে অভিযান চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে কখনও ক্যাম্পে এমন অভিযান চালানো হয়নি। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা ভালো না। এজন্য সর্বোচ্চ প্রিপারেশন ছিল আজকের অভিযানে। তবে কোথাও কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। গত ৪ মে থেকে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় জেনেভা ক্যাম্পে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। র্যাব-১, র্যাব-২ ও র্যাব-৩ এর প্রায় ৫শ›জন সদস্য এ অভিযান পরিচালনা করেছেন। জেনেভা ক্যাম্পে লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। এখানে বেশ ভালোভাবেই মাদকের ব্যবহার হয়। অনেকেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত-এই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্যাম্পের ভেতরে অভিযান চালানো হয়েছে। আটককৃতদের একজন সাউথ ইস্ট ইউনিভারসিটির শিক্ষার্থী ফাহমিদা। বাসা জেনেভা ক্যাম্পের সি বøকে। মা বানু বলেন, সকালে বাসার সবাই ঘুমে ছিল। তখন আমার মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে র্যাব। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুল হাওলাদার নয়ন (২৩)। তার ভাবি সুলতানা টগর বলেন, ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিল নয়ন। সেখান থেকে সকাল ১১টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে গেছে। গাড়ি চালক বাদলের মা নাসিমা বেগম বলেন, সকাল ১১টার দিকে তার ছেলে কাজে যাওয়ার সময় র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ী পারভেজের (৩৫) স্ত্রী শবনম বলেন, বিহারি ক্যাম্পের বাসা থেকে সকালে বাইরে বের হয়েছিল আমার স্বামী। এসময় তাকে ধরে নিয়ে গেছে। সেলুন কর্মী আলী হোসেনের মা শাহনাজ বেগম বলেন, সকালে ঘুমে ছিল। র্যাব অভিযান চালিয়ে আটক করে নিয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।