রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় এলাকায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত টহল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি গ্রæপ রয়েছে। এক গ্রæপের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. জামাল মাতুব্বর এবং অন্য গ্রæপে রয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের নির্বাহী সদস্য ও চতুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নাজিম উদ্দিন। গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাজিম উদ্দিন ছিলেন দলের মনোনীত ও বিজয়ী প্রার্থী এম এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে। অপরদিকে জামাল মাতুব্বর গ্রæপ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মো. লিটন মৃধার সমর্থক ছিলেন। গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নাজিমউদ্দিন গ্রæপের আক্কেলের সাথে প্রতিপক্ষ গ্রæপের নিহত দেলোয়ার মাতব্বরের কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে ওই রাতেই দুই গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর রাতের আধারে দুই গ্রæপ লাঠিসোটা, লোহার রড রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে জামাল মাতুব্বরের চাচাতো ভাই দেলোয়ার মাতুব্বর (৪০) নিহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে জামাল মাতুব্বর গ্রæপের ২০-২৫টি বাড়ি ভাংচুর এবং বাড়ি ঘরে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রæপের তিন নারীসহ প্রায় ১০ ব্যক্তি আহত অবস্থায় বোয়ালমারী ও ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জামাল মাতুব্বর বলেন, সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকে মো. লিটন মৃধার নির্বাচন করায় দলের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। এর জের ধরে আমার প্রতিপক্ষ গ্রæপের নাজিমউদ্দিন, আক্কেলসহ তাদের লোকজন আমার চাচাতো ভাইকে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান বলেন, পোয়াইল গ্রামে দুই গ্রæপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিন ব্যক্তিকে আঁক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।