মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এত দিন ঘূণাক্ষরেও কেউ জানতে পারেননি! রাজধানী রিয়াদের কিং আবদুল আজিজ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি পরমাণু চুল্লি বানিয়ে ফেলেছে সউদী আরব। ‘গুগল আর্থ’-এর উপগ্রহ চিত্রে সম্প্রতি তা ধরা পড়েছে। সেই ছবি প্রকাশও করা হয়েছে। আর তার পরেই তা জানতে পেরেছে পরমাণু শক্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)। ফলে, প্রশ্ন উঠেছে, কেন গোপনে ওই পরমাণু চুল্লি বানাচ্ছে সউদী আরব? কী তার উদ্দেশ্য? কেন এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধায়ক সংস্থাকে আগেভাগে কিছুই জানায়নি সউদী সরকার? রিয়াদে তড়িঘড়ি পরিদর্শক পাঠানোর দাবি উঠেছে মার্কিন কংগ্রেসে।
গুগল আর্থ’-এর উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ওই পরমাণু চুল্লি বানানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বড় মাপের ‘ভেসেল’ বা পাত্রও বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
রিয়াদে গিয়ে সউদী আরবকে সেই ভেসেলটি বানিয়ে দিয়েছে আর্জেন্তিনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ‘ইনভ্যাপ সে’। ভেসেলটির উচ্চতা ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট। ব্যাস ২.৭ মিটার। আর্জেন্তিনা অবশ্য এই ধরনের ভেসেল অনেক দেশকেই বেচেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও পরমাণু চুল্লি আজ ভাবলেই কাল বানিয়ে ফেলা যায় না। প্রস্ততি ও নির্মাণকাজ নিয়ে অন্তত ৫/৭ বছর সময় লাগে। অথচ, আইএইএ-র এক প্রাক্তন অধিকর্তার মন্তব্যেই স্পষ্ট, এ ব্যাপারে এত দিন অন্ধকারেই ছিল আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধায়ক সংস্থাটি। আইএইএ-র প্রাক্তন অধিকর্তা রবার্ট কেলি বলেছেন, ‘‘উপগ্রহের পাঠানো ওই সব ছবি পরমাণু চুল্লির সম্ভাবনাই জোরালো করে তুলেছে।’’ ইরানের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার আগ্রহ দেখে সউদী যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন অবশ্য গত বছরই পরমাণু বোমা বানানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।